কিভাবে বাংলালিংক নাম্বার চেক ও বাংলালিংক মিনিট চেক করতে হবে জানুন

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করার নিয়ম আপনি একটি নতুন বাংলালিংক সিম কিনেছেন এবং সেই সিমের নাম্বারটি ভুলে গেছেন? অনেক চেষ্টা করেও সিমের নাম্বারটি মনে করতে পারছেন না চিন্তার কোন কারণ নেই।আজকের এই আর্টিকেলে বাংলালিংক নাম্বার চেক, বাংলালিংক এমবি চেক, বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক, বাংলালিংক মিনিট চেক,বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড এবং বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার সহ সকল তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানি। বর্তমানে প্রায় বাংলাদেশের ৭০% মানুষই সিম কার্ড ব্যবহার করে। এর মধ্যে যারা বাংলালিংক সিম ব্যবহার করেন তারা বাংলালিংক নাম্বার চেক, বাংলালিংক এমবি চেক, বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক,বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড এবং বাংলালিংক মিনিট চেক সহ বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার জানতে আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলালিংক নাম্বার চেক ও বাংলালিংক মিনিট চেক

বর্তমানে বাংলালিংক সিম অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবহৃত সিম কোম্পানির গুলোর মধ্যে একটি।তবে অনেকেই জানানা কিভাবে বাংলালিংক সিমের নাম্বার চেক করতে হয় বা বাংলালিংক সিমের অন্যান্য সকল সুবিধার্থে বাংলালিংক সিম কোম্পানি যে সকল শর্ট কোড দিয়েছে সেগুলো অনেকই জানে না।

যেমন বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড, বাংলালিংক মিনিট চেক করার কোড, বাংলালিংক এমবি চেক করার কোড, বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক করার কোড সহ সরাসরি বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার কোড।এ সকল তথ্য জানতে চাইলে আর্টিকেলটি লক্ষ্য করুন।

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার জন্য বা নাম্বার দেখার জন্য যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো কোড ডায়াল করে নাম্বার দেখা। বাংলালিংক সিমের নাম্বার চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইলের ডায়াল অপশনে যেতে হবে বা যেখানে কল করার জন্য নাম্বার টাইপ করতে হয় সেখানে যেতে হবে। ডায়াল অপশনে গিয়ে নিচে দেওয়া কোডটি টাইপ করতে হবে।

কোডটি হলো: *511#

উপরোক্ত এই কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই আপনার মোবাইলে থাকা বাংলালিংক সিমের নাম্বারটি দেখতে পাবেন।অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যেই সিমের নাম্বারটি দেখতে চাচ্ছেন সেই সিমটি আপনার ফোনের ভিতরে প্রবেশ করানো থাকতে হবে। আশা করি বাংলালিংক নাম্বার চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাংলালিংক এর এমবি চেক করার জন্য দুটি উপায়ে রয়েছে।

১.আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে কোড টাইপ করে বাংলালিংক এমবি চেক করতে পারবেন।

২. আপনার মোবাইলে মাই বিএল (My BL App) অ্যাপ ব্যবহার করে।

আপনি যদি আপনার মোবাইলে থাকা এমবি ব্যবহার করার পরে অবশিষ্ট এমবি কতটুকু আছে তা জানতে চান তাহলে খুব সহজেই নিচে দেওয়া কোডের মাধ্যমে বাংলালিংক এমবি চেক করতে পারবেন।

কোডটি হলো: *5000*500#

উপরে দেওয়া কোডটির মাধ্যমে আপনি যখন খুশি তখন এমবি চেক করতে পারবেন।মোবাইলের ডায়াল অপশন এ গিয়ে কিভাবে বাংলালিংক এমবি চেক করতে হয় আশা করি জানতে পেরেছেন।আপনি যদি কোডের মাধ্যমে বাংলালিংক সিমের এমবি চেক করতে না চান।

ডিজিটাল যুগে ডিজিটালভাবে যদি এমবি চেক করতে চান তাহলে আপনি আপনার প্লে স্টোরে গিয়ে মাই বিএল (My BL Apps) অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। এবং সেই অ্যাপটিতে লগইন করুন এবং আপনার ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করলেই আপনি সহজেই বাংলালিংক এমবি চেক করতে পারবেন।

বাংলালিংক সিমের নাম্বার চেক করা বা বাংলালিংক সিমের এমবি চেক করা সম্পর্কে জানা হলে এবার বাংলালিংক সিমের ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। কারন আপনার বাংলালিংক সিমে যদি ব্যালেন্স না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজই করতে পারবেন না। বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক করতে হলে আপনার নিচের দেওয়া কোডটি সঠিকভাবে ডায়াল অপশনে ক্লিক করতে হবে।

কোডটি হলো: *124#

উপরে দেওয়া কোটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

যেকোনো একটি অফারের মাধ্যমে আপনি মিনিট ক্রয় করেছেন।এখন আপনি যদি আপনার বাংলালিংকের অবশিষ্ট মিনিট চেক করতে চান তাহলে সরাসরি আপনার ডায়াল অপশনে গিয়ে নিচে দেওয়া কোডটি টাইপ করতে হবে।

কোডটি হলো: *121*100# অথবা *121*100*1*1#

উপরে দেওয়া দুইটি কোডের মাধ্যমে আপনি বাংলালিংক মিনিট চেক করতে পারবেন এবং মিনিটের মেয়াদ কতদিন আছে তাও দেখতে পারবেন। আশা করি বাংলালিংক মিনিট চেক করার কোডটি জানতে পেরেছেন।

আপনি যদি কোনো প্রয়োজনে কথা বলতে থাকেন সেক্ষেত্রে যদি আপনার সিমে টাকা শেষ হয়ে যায় তখন বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে পাবেন না জানা থাকলে জেনে নিন। যখন আপনার ইমারজেন্সি ব্যালেন্স প্রয়োজন হবে সেই ক্ষেত্রে নিচে দেওয়া কোডটি ডায়াল অপশনে গিয়ে ডায়াল করুন দেখবেন সাথে সাথে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চলে আসবে।

কোডটি হলো: *874# 

উপরে দেওয়া কোডের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স আনতে পারবেন। তবে একবারের বেশি দুইবার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনতে পারবেন না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি আগের টাকা পরিশোধ করবেন।বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড জানা হয়ে থাকলে এবার চলুন জেনে নেই বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার। কারণ বাংলালিংক সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যায় বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে কল দিয়ে সমাধান পেতে পারি অতি সহজে।

আপনার ব্যবহৃত বাংলালিংক সিম টি যদি টেকনিক্যালি কোন প্রকার সমস্যা হয় তাহলে আপনি সরাসরি কাস্টমার সার্ভিসে কল দিয়ে সেই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন খুব সহজেই।যেমন :ধরেন আপনার অতিরিক্ত কল রেটের চার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে, আপনি রিচার্জ করেছেন সেখান থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বা এমবি থাকা অবস্থায় ব্যালেন্স কেটে নেওয়া হয়েছে।এই সকল সমস্যা গুলো সরাসরি আপনি কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সমাধান করতে পারবেন।

বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বারটি হল : 121

উপরে দেওয়া বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এর সাহায্যে আপনি যে কোন সময় আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলালিংক সিমের কিছু শর্ট কোড আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাতে করে যারা বাংলালিংক সিম ব্যবহার করেন তারা যাতে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রকার বাংলালিংক সিমের তথ্য পেতে পারেন।

আশা করি এখন থেকে সকলেই খুব সহজে বাংলালিংক নাম্বার চেক, বাংলালিংক এমবি চেক, বাংলালিংক ব্যালেন্স চেক, বাংলালিংক মিনিট চেক, বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের কোড সহ বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এমন আরো উপকৃত সকল তথ্য পেতে চোখ রাখুন আয়াত টিপস ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ।