রেফারেন্স বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট কত প্রকার ও করতে কি কি লাগে জানুন প্রিয় পাঠক আপনি কি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।কারণ আজকের আর্টিকেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স কি, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাদেরকে জানাবো।
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য অনেক মানুষ দালালের চক্রে পড়ে টাকা
পয়সা সব নষ্ট করে দিচ্ছে।দালালের কাছে প্রতারিত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে আপনি
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে জানেন না অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত কোন ধারণা
নেই।
তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স কি, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগে মোবাইল
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক, এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ রেফারেন্স বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক ২০২৪
ড্রাইভিং লাইসেন্স কি
ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে সরকার কর্তৃক গাড়ি চালানোর অনুমতি পত্র।ড্রাইভিং
লাইসেন্স এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট শ্রেণীর মটরযান চালানোর অনুমতি
দেওয়া হয়।আপনি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাক, ইত্যাদি যেকোনো মোটরযান
চালানোর জন্য আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ২০২৪
যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তারা অনেকেই জানেন না ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি
কি কাগজপত্র লাগে। যার কারণে দালালরা নানান কাগজের কথা বলে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে
থাকে।যার ফলে সাধারণ মানুষ দালালের কাছে প্রতারিত হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি
কি কাগজপত্র লাগে নিচে উল্লেখ করা হলো:
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগে
- বিআরটিএ ওয়েবসাইটে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যে আবেদনটি করেছেন সেই আবেদনপত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য আপনার নিজস্ব দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আইডি কার্ডের ফটোকপি বা স্ক্যান কপি লাগবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট স্কিন কপি বা ফটোকপি জমা দিতে হবে।
স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগে
- লার্নার লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট যেটা আপনি লার্নার পরীক্ষার পরে পাবেন।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন পত্রটি দিতে হবে।
- আবার নতুন করে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য জমা দিতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
আশা করি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন।এছাড়াও যদি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আপনি কমেন্ট বক্সে জানাতে
পারেন বা আপনার নিজস্ব এলাকার বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করে সকল তথ্য জেনে নিতে
পারেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কত ধরনের হয় ২০২৪
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত কত ধরনের হয়। বর্তমানে
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই ধরনের রয়েছে পেশাদার এবং অপেশাদার।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স মানে আপনাকে
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অনুমতি দেওয়া হয়ে হয়েছে।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে শুধু
আপনাকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি বাণিজ্যিক কোন কাজে যানবাহন চালাতে চান তাহলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
আপনার প্রয়োজন। আর আপনি যদি আপনার নিজের ব্যক্তিগত কোন কাজে গাড়ি ব্যবহার করে
থাকেন তাহলে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে ২০২৪
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে এ বিষয়টি অনেকেই জানতে আগ্রহী।ড্রাইভিং
লাইসেন্স করতে কয়েকটি পরীক্ষা এবং কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যেমন :
- লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
- তারপর মোটরবাইক দিয়ে প্র্যাকটিকালে চালিয়ে দিন দেখাতে হবে।
- কিছু মৌখিক পরীক্ষা রয়েছে সেগুলোতে পাস করতে হবে।
- সবগুলো ধাপ অতিক্রম করলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
অবশ্য এই সকল কাজগুলো একদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ করা হয়।যদি কোন প্রকার সমস্যা না
থাকে তাহলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার কার্ড পেয়ে যেতে
পারেন।এছাড়া আপনি লার্নার কার্ড হাতে পাওয়ার পর আপনার স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেতে হলে ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মতো অপেক্ষা করতে হবে।
আরো জানুনঃ ইতালি কৃষি ভিসা পেতে কি কি লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্সটি সম্পন্ন হয়েছে কিনা আপনি চাইলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করতে পারেন অথবা রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ২০২৪
বর্তমান যুগে আপনি চাইলেই আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে
পারেন।তেমনিভাবে খুব সহজেই মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন ঘরে বসে।যারা নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করেছেন অথবা পূর্বের ড্রাইভিং
লাইসেন্স এর মধ্যে কোন ভুল রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে অবশ্যই মোবাইলের মাধ্যমে
জানতে পারবেন।
আরো জানুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক
কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী গাড়ি ড্রাইভিং করার জন্য অবশ্যই আপনার
কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে
দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিবেন।মোবাইল নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হলে আপনার যে সকল ধাপ অতিক্রম করতে হবে তা নিচে
উল্লেখ করা হলো :
- আপনি যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছেন অবশ্যই আপনার ফোনে সেই নাম্বারটি থাকতে হবে।
- প্রথমে আপনাকে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে যেতে হবে।
- নিউ মেসেজ অপশনটি ওপেন করার পর DL (ডিএল) একটি <স্পেস> দিয়ে রেফারেন্স নাম্বার বসাতে হবে।যেমন : DL 76543210123
- তারপর আপনার টাইপকৃত মেসেজটি (26969)এই নাম্বারে সেন্ড করুন।
- মেসেজটি সেন্ড করার তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর ফিরতি একটি বিআরটি থেকে মেসেজ পাবেন।
- ফিরতি মেসেযে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি কি অবস্থায় রয়েছে, কোথায় রয়েছে, সকল স্ট্যাটাস দেওয়া থাকবে।
আশা করি এখন থেকে সবাই খুব সহজে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন।ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আরো কিছু উপায় রয়েছে।সেগুলো জানতে
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ২০২৪
কয়েক বছর আগেও ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য বিআরটি অফিসে
দৌড়াদৌড়ি করতে হতো।তবে বর্তমান ডিজিটাল আপনি চাইলে ঘরে বসেই রেফারেন্স নাম্বার
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে
রেফারেন্স নাম্বারটি কোথায় পাবো।
আপনি যখন লার্নার কার্ড পেয়েছেন সেই কার্ডের উপরে আপনার আবেদনপত্রের রেফারেন্স
নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে।আপনি চাইলে ঘরে বসে সেই রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করার দুইটি পদ্ধতি রয়েছে।
আরো জানুনঃ ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে অথবা বিআরটিএ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করতে পারবেন।মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয়
তা উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করা রয়েছে।তবে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে
সর্বপ্রথম আপনাকে বিআরটিএ ওয়েবসাইটের প্রবেশ করতে হবে।
তারপর প্রথম আপনার ডিএল নাম্বার ভালোভাবে বসাতে হবে, আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করে
সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন তারপর আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি অবস্থায় আছে সেটা
সরাসরি দেখতে পারবেন ওই ফাইটার মাধ্যমে। ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার জন্য সার্চ করুন
brta.gov.bd এই ওয়েবসাইটে।
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ২০২৪
বর্তমানে অনেক মানুষ গুগলে এ সার্চ করে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক।
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স একজন ড্রাইভার এর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি
জিনিস।যেটা না থাকলে সে কখনোই রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবে না।বর্তমানে ড্রাইভিং
লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ অবলম্বন করছে তারপরও প্রতারকরা থেমে নেই।
তাই এখন পর্যন্ত নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতিটি বিআরটিএ অফিস
থেকে চালু করা হয়নি। আপনি হয়তো জানেন যে একই দিনে একই সাথে অনেক মানুষ একসাথে
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করে থাকেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সুতরাং
সেই ক্ষেত্রে একই দিনে একই সময়ে একই নামের অনেকজন ব্যক্তি থাকে।
আরো জানুনঃ আরো জানুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায়
তাই আপনি যদি নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে জান তাহলে আপনার নিজস্ব
ড্রাইভিং লাইসেন্স খুজে পেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। কারণ আপনার নামের সাথে
অনেকের নাম মিল থাকতে পারে। যার কারণে অনেক জনের তথ্য একই সাথে কম্পিউটার রয়েছে
যেটা আপনার খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হবে।
তাই নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার প্রক্রিয়াটি বাদ দিয়ে মোবাইল নাম্বার
দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য সফটওয়্যার বা এপ্স ব্যবহার করলে আপনার
জন্য সবথেকে বেশি ভালো। চলুন এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার বা এপ্স
এর সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার বা এপ্স ২০২৪
ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল ভাবে সবকিছু করতে সবাই পছন্দ করে। তাই ডিজিটাল ভাবে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য সফটওয়্যার রয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই একটি
সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ড্রাইভিং লাইসেন্স ঘরে বসে চেক করতে পারবেন। চলুন আজকে
আপনাদেরকে দেখায় ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার অ্যাপস কোনটি সবথেকে
বেশি ভালো এবং দ্রুত কাজ করে।
সর্বপ্রথম আপনার ফোনের গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে তারপর আপনাকে সার্চ করতে হবে
BRTA DL Checker।তারপর আপনার সামনে নিচের ছবির মত এরকম একটি অ্যাপস বা সফটওয়্যার
শো করবে সেটাকে ইন্সটল করে নিতে হবে।
ইনস্টল সম্পূর্ণ হওয়ার পরে সফটওয়ারে প্রবেশ করবেন এবং আপনার কাছে কিছু তথ্য
চাবে।সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে যেমন: প্রথমে আপনার রেফারেন্স নাম্বার চাইবে,তারপর
আপনার জন্ম তারিখ চাইবে।
সকল তথ্য সম্পন্ন ভাবে দেওয়া হলে সার্চ বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল তথ্য জানতে পারবেন।
আগের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের
খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন নেই। এখন থেকে আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় কি ২০২৪
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো একেবারেই অসম্ভব। কারণ ড্রাইভিং
লাইসেন্স ছাড়া যদি গাড়ি চালায় তাহলে জেল বা জরিমানা হতে পারে। এমন অবস্থায়
যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করনীয় কি সবাই জানতে চায়। তাই সকলের
সুবিধার্থে ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় কি তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
- ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে সর্বপ্রথম আপনার নিকটবর্তী থানায় গিয়ে একটি জিডি করতে হবে।
- তারপর আপনাকে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে কোন মামলা-মোকদ্দমা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে পুলিশের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
- এরপর আপনি যে বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করেছেন সেখানে পুনরায় আবার একটি আবেদন করতে হবে।
বিআরটিএ অফিসে আবেদন করার জন্য ফরমে যে সকল তথ্য আপনাকে পূরণ করতে হবে সেগুলো
উল্লেখ করে দেওয়া হল :
- আপনি যে থানায় জিডি করেছেন সেই জিটি কপি।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- নির্ধারিত ফি প্রদানের রশিদ।
- এবং সর্বশেষ আবেদন ফ্রি ৮৭৫ টাকা দিতে হবে।
এ সকল ধাপগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারেন তাহলে আপনি আবার পুনরায়
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিরে পাবেন। আপনার তথ্য যদি সঠিক হয় এবং আপনার যদি কোন প্রকার
সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি আবার পুনরায় বিআরটিএ অফিস থেকে নতুন একটি ড্রাইভিং
লাইসেন্স পাবেন। আশা করি ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে
সকলেই বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
আমি নিজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। তাই আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের
সাথে শেয়ার করছি যাতে আপনারা উপকৃত হন।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় বা ছবি তোলার সময় অবশ্যই আপনার লার্নার কার্ডটি সাথে নিয়ে যাবেন।
- বারবার চেক করে নিবেন আপনার এনআইডি কার্ডের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন পত্র যাতে কোন তথ্য ভুল না হয়।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি দেওয়ার রশিদ সাথে রাখতে হবে।
- অবশ্যই আপনার লার্নার কার্ডটি অরজিনাল কপি রাখতে হবে সাথে কারণ ফটোকপিতে সমস্যা হতে পারে।
- চেষ্টা করবেন এনআইডি কার্ডের ফটোকপইর পাশাপাশি অরজিনাল কার্ডটি আপনার সাথে রাখার জন্য।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় যদি আপনারে কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে দালালের পাল্লায় না পড়ে অবশ্যই বিআরটিএ এর অফিসে যোগাযোগ করুন।
আশা করি আমার দেওয়া টিপস গুলো আপনার কাজে আসবে।টিপস গুলো ভালো লাগলে কমেন্ট
বক্সে জানাবেন।এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় কোনো প্রকার সমসার সম্মুখীন
হলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন সমাধান করার সর্বোচ্চ চেস্টা করবো।
লেখকের মন্তব্য
যারা গাড়ি চালায় বা যাদের গাড়ি রয়েছে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে ধারণা
থাকা দরকার। কারণ একজন ড্রাইভার এর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি
জিনিস। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া একজন ড্রাইভার যেকোনো সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে
পারে।তাই আজকের আর্টিকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স কি, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি
কাগজপত্র সময় লাগে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,রেফারেন্স
নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়
কি সকল তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারা মোবাইল নাম্বার দিয়ে টাইপিং মেসেজ চেক
করার নিয়ম জানতে পারে।
আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url