কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা | কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা জানুন সাধারণত কালোজিরা মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কিন্তু অনেক। কালোজিরার আরো কিছু নাম রয়েছে বিভিন্ন দেশে বা অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে কালোজিরা পরিচিত যেমন: রোমান ধোনে, নিজেলা,কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার,হাব্বাটুসউডা,ফিনেল ফ্লাওয়ার,ও কালঞ্জি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা সাধারণ একটা মসলা মনে হতে পারে কিন্তু এই কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অসাধারণ। প্রাচীনকাল থেকে প্রমাণিত কালোজিরা খুব উপকারী একটি খাবার। কারণ কালোজিরার মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে অনেক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।তবে বর্তমানে আমাদের মাঝে অনেকেই জানেনা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং কালোজিরার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।তাই সকলের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে সবাইকে জানাবো কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং সঠিকভাবে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা শুধু মসলা নয় কালোজিরাতে রয়েছে অনেক গুনাগুন যা বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।সাধারণত কালোজিরা দুইভাবে খাওয়া যায় একটি হলো আপনি চাইলে কালোজিরা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারে।আপনি চাইলে যেকোনো ভাবেই কালোজিরা খেতে পারেন কিন্তু এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • সকালে খালি পেটে মধুর সাথে মিশিয়ে কালোজিরা খেতে পারে না
  • কালোজিরা ভালোমতো ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • তরকারিতে রান্নার সাথে কালোজিরা খেতে পারেন।
  • লাল চায়ের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে চা খেতে পারেন।
  • আপনি চাইলে কালোজিরা দিয়ে ভর্তা তৈরি করে কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন।
  • এছাড়া আপনি চাইলে কালোজিরা তেল খেতে পারেন।
আশা করি সবাই কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তবে কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারলে সবথেকে বেশি উপকার মিলবে।

ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা কালোজিরা কে বলে সব রোগের ওষুধ।বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন সক্রিয় ফাইটোকেমিক্যাল ক্ষুধা ও মেদ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী নির্দিষ্ট জিনের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলে কালোজিরা। কালোজিরা খাওয়ার এমন কিছু উপায় রয়েছে যেভাবে খেলে আপনার ওজন দ্রুত কমে যাবে। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম গুলো।

লেবুর রস ও কালোজিরা: একটি পরিষ্কার ছোট বাটিতে ১৫ থেকে ২০টি কালোজিরা নিয়ে তাতে অর্ধেকটা লেবুর রস ভালোভাবে মেশান।এবার লেবুর রস এবং কালোজিরা মেশানো মিশ্রণটি দুই থেকে চারদিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।মিশ্রণটি ভালোমতো শুকানো হয়ে গেলে এবার প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চার থেকে পাঁচটি করে কালোজিরা বাটির মধ্য থেকে নিয়ে খান ।দেখবেন আপনার ওজন দ্রুত কমে গেছে।

লেবুর রস, মধু ও কালোজিরা: অল্প কিছু পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে ভালো মতো গুড়া করে নিতে হবে। এবার এক গ্লাস হালকা গরম পানির মধ্যে কালোজিরার গুড়া গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর গরম পানি ও কালোজিরার গুড়া ভালোভাবে মিশানো হয়ে গেলে এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ মধু ভালোভাবে মেশান।সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে খালি পেটে পান করুন।এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ভুরি দূর করতে সাহায্য করবে এবং দ্রুত ওজন কমাবে।

পানি এবং কালোজিরা: আপনি ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানির সাথে কিছু পরিমান কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস পানিতে ১৫ থেকে ২০টি কালোজিরা দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে খালি পেটে পানি ভালোমতো ছেঁকে নিয়ে পান করুন।এভাবে যদি আপনি প্রতিনিয়ত পানি এবং কালোজিরা পান করেন তাহলে আপনার ওজন অনেকটাই কমে যাবে।
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানা হয়েছে। তবে একদিনে খুব বেশি কালোজিরা খাবেন না ওজন কমানোর পাল্লায় পড়ে যদি আপনি অতিরিক্ত কালোজিরা খান তাহলে আপনার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে সুতরাং পরিমাণ মত কালোজিরা খাবেন।

প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা বা কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার জানতে হবে প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত। প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার হজম শক্তির উপরে। কেননা আপনি যদি কালোজিরা খেয়ে হজম করতে না পারেন তাহলে বদ ওজন বা গ্যাস্ট্রিকের মতো নানান রকম সমস্যা হতে পারে।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন আপনি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম অথবা ৫০ গ্রাম কালোজিরা খান আসলে একটি সঠিক করে বলা যায় না।সাধারণত যদি আপনার সর্দি, কাশি, জ্বর বা মাথা ব্যথার রোগে অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে এক থেকে দুই চামচ কালোজিরা পেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। অথবা কালিজিরার সঙ্গে তুলসী পাতার রস বা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে খেলে আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তাছাড়া আপনি চাইলে ৫ থেকে ১০ টি কালোজিরা ভালোমতো ধুয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন।অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কারো কথা শুনে অতিরিক্ত কালোজিরা সেবন করবেন না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।আপনি নিজেই আপনার হজম শক্তির উপরে নির্ভর করে কালোজিরা সেবন করবেন।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

বিশেষজ্ঞদের মতে কালোজিরার ঔষধি গুন সম্পন্ন হওয়ার কারণে এটিকে আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম হল nigella sativa। এই কালোজিরা যেই নামে ডাকা হোক না কেন এর উপকারিতা অনেক।আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়ার নিধন থেকে শুরু করে আমাদের শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে কালোজিরা।
এতক্ষণ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হয়েছে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।

পুরুষের স্বাস্থ্য উন্নত: প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে পুরুষের স্বাস্থ্য করতে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে কারণ এই কালোজিরার মধ্যে বেশি পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম,ফোলেট,আকসিডেন্টাল ইউরোমিয়াম এবং ভিটামিন ই সম্পূর্ণ রয়েছে যা পুরুষের স্বাস্থ্য কে উন্নত করতে অনেকটাই সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা তার মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হলো যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তারা নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ এই কালোজিরার মধ্যে ফাইবার আছে যা আমাদের শরীরের রক্ত শর্করা স্তর নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করতে পারে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন খাবার তালিকা কিছু পরিমাণ কালোজিরা রাখার ফলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে এবং আপনার বদহজম গুলো সব দূর করে দিব।যারা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা প্রতিনিয়ত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সর্দি কাশি: যাদের সর্দি কাশি রয়েছে তারা চাইলে প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে রং চায়ের সাথে যার মিশিয়ে দৈনিক দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।এছাড়া যদি আপনার সর্দি কাশির ফলে আপনার গলা প্রচন্ড ব্যথা করে তাহলে আপনি কালোজিরা তেল গলায় অথবা ঘাড়ে মাখতে পারেন এতে আপনার দ্রুত সর্দি কাশি এবং গলা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

বাতের ব্যথা: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে বাতের ব্যথা ও দূর করে।আপনার শরীরে যে সকল স্থানে বাতের ব্যথা রয়েছে সেই স্থানগুলো ভালোমতো পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার করে মালিশ করবেন। দেখবেন শীঘ্রই আপনার বাতের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

চর্মরোগ সারাতে: যারা বিভিন্ন রকমের চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা প্রতিদিন কালোজিরা তেল আক্রান্ত স্থানে মালিশ করতে পারেন। অথবা এক কাপ রং চায়ের সাথে কালোজিরা এবং মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে: যে সকল পুরুষ বা মহিলারা শারীরিকভাবে দুর্বল অথবা কর্ম ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে তারা প্রতিদিন সকালে কালোজিরা কিছু পরিমাণ চিবিয়ে খেতে পারেন।কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ছোট বড় পুরুষ মহিলা সবাই বুঝতে পারবেন।

অনিয়মিত মাসিক: যে সকল মহিলারা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন এক চা চামচ হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চালের ধোয়া পানির সাথে কিছু পরিমাণ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দৈনিক তিনবার করে নিয়মিত পান করলে শতভাগ কার্যকর হবে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: ত্বকের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের গঠনের উন্নতির জন্য প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া অতি জরুরী।কারণ কালোজিয়ারের মধ্যে থাকা লেনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাট এসিড থাকে যা আমাদের পরিবেশের প্রখরতা ও স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে এবং অনেকটাই সুন্দর ও ত্বকের উন্নত ঘটায়।কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি আপনি চাইলে মধু ও কালোজিরা একসাথে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘন্টা বা তারও বেশি কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন এইভাবে কয়েকবার করলে আপনার ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল হবে।

গ্যাস্ট্রিক বা আমাশয়: আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার একটা চামচ মধুর সঙ্গে সমপরিমাণ কালোজিরা তেল মিশে পান করেন তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক বা আমাশয় দূর হয়ে যাবে।
লিভারের বিভিন্ন সমস্যা : আপনার যদি কোন প্রকার লিভারের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে কিছু পরিমাণ কালোজিরা মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন।

শিশুদের দৈহিক বা মানসিক বৃদ্ধি: যে সকল শিশুদের তিন থেকে চার বছরের অধিক বয়স হয়েছে তাদেরকে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।এতে আপনার শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুদের মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেকটা কাজ করে থাকে কালোজিরা।কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা শিশুরাও পেতে পারে তবে দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কোন প্রকার সমস্যা হলে বাচ্চাদের কালোজিরার তেল বাহিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

দেহের বিভিন্ন উন্নতি: প্রতিদিন নিয়মিত কালোজিরা সেবনের ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও যাদের মুখে অরুচি, পেটে ব্যথা, আমাশয়, জন্ডিস, জ্বর, গলা ব্যাথা, দাঁত ব্যাথা, মাইগ্রেন, হাঁপানি ইত্যাদি সহ নানান সমস্যা ভুগছেন তারা ওষুধ হিসেবে কালোজিরা সেবন করতে পারেন।দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার দেহের বিভিন্ন উন্নতি হতে থাকবে এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে।

কালোজিরা আয়ুর্বেদিক ইউনানী ও কবিরাজ সহ নানান চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে তাই যারা উপরে উল্লেখিত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন। আশা করি এতক্ষণে উল্লেখিত সকল বিষয়গুলো পড়ে কালিজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

যুগ যুগ ধরে কালোজিরা মানবদেহে নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই কালিজিরার শোধ হয়ে একটি মসলা নয় এর কাজ শুধু খাবারের স্বাদ বা সুগন্ধি তৈরি করে এমনটা নয়। কালোজিরা আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসায় কালিজিরা ব্যবহার করা হয়। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিসের বর্ণিত রয়েছে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন কালিজিরা সকল প্রকার রোগের উপশম আছে।তবে মৃত্যু ব্যতীত।তাই যেকোনো রোগের নিরাময়ের থেকে নিরাপদে থাকার জন্য কালোজিরা সেবন করতে পারেন তবে পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে কালোজিরা সেবন করা উচিত।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি প্রতিনিয়ত কালিজিরা খেতে পারেন তাহলে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ সহ শরীরের নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে কালিজিরার চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, কালিজিরা খাওয়ার নিয়ম,ওজন কমাতে কালিজিরা খাওয়ার নিয়ম,প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত এবং কালিজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছিন।আর্টিকেলটা যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং কালিজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে।এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url