ওমান ভিসার দাম কত এবং ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪

মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ ওমান হচ্ছে আরব দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। সরকারিভাবে ওমান কে বলা হয় ওমান সালতানাত।বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ওমানে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়।তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো ওমান ভিসার দাম কত, বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে, ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা সহ ওমান সম্পর্কিত সকল তথ্য।
ওমান ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে ওমানে যায় অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চায়।কিন্তু তারা অনেকেই জানেনা বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে এবং ওমান ভিসার দাম কত ২০২৪।
সূচিপত্রঃ ওমান ভিসার দাম কত এবং ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪

ভূমিকা

ওমান দেশটিকে মরুভূমির দেশ বলা হয় ওমানের শতকরা ৮০ ভাগ মরুভূমি রয়েছে।বাংলাদেশের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিবছর ওমানে কাজ করে। আগের বছরের থেকে এ বছরে ওমানের ভিসার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভিসার দাম অনেকটাই বেড়ে গেছ।
বর্তমানে যারা ওমান গিয়ে কাজ করতে চান তাদেরকে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি, ওমানের কোন কাজের বেতন কত, বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে এবং ওমান ভিসার দাম কত, ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা সহ ওমানের সকল তথ্য জানতে আর্টিকেলটিক মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

আপনি যদি ওমানে টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিসা আবেদনের সময় আপনার সাথে নিতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে।
  • আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাস থাকতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কপি।
  • ভিসা আবেদন ফরম সাথে নিতে হবে।
  • আপনার নিজস্ব ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সার্টিফিকেট।
  • আপনার আঠারো বছর বয়স সম্পন্ন হয়েছে এটার জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিতে হবে।
  • আপনার বাবা-মার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট।
এ সকল কাগজপত্র যদি আপনার সাথে না থাকে তাহলে আপনি ওমানে যাওয়ার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সুতরাং উপরে উল্লেখিত সকল কাগজপত্র গুলোর সাথে রাখবে।

ওমান ভিসার দাম কত ২০২৪

ওমানে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে ওমান ভিসার দাম কত ওমান ভিসার পিছনে কত টাকা খরচ হতে পারে সেই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি সরকারিভাবে ওমানের ভিসা পেতে পারেন তাহলে অল্প টাকার মধ্যেই আপনার সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যাবে। তবে বেশিরভাগ মানুষই এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ওমানে কাজের জন্য যায়।ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়।
  • বাংলাদেশের যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি ওমান ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।
  • যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ওমান যেতে চায় তাদের ভিসা প্রতি খরচ হতে পারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।
  • যারা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে ওমান যেতে চায় তাদেরকে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

বর্তমানে যারা ওমান যেতে চায় তারা সবাই গুগলে সার্চ করে বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে যাতায়াত সহ সকল খরচ সম্পর্কে জানতে চায়।বাংলাদেশ থেকে ওমান যাওয়ার সময় আপনাকে ভিসার খরচ, বিমান টিকেটের ভাড়া, মেডিকেলের খরচ, এজেন্সির খরচ সহ সকল খরচ মিলিয়ে মিনিমাম ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আপনি চাইলে আরো কিছু খরচ কমাতে পারেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে।যেমন ধরেন আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপরে দাম কিছুটা কমতে পারে, আপনি যদি নন স্টপ প্লেনের টিকিট কাটেন তাহলে আপনার খরচ বাড়তে পারে আর আপনি যদি স্টপ ওভার ফ্লাইট মানে কয়েক জায়গায় ট্রানজিট হয়ে তারপর ওমানে যাবে তাহলে আপনার বিমান ভাড়া অনেকটা কম লাগবে।তবে আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে।

ওমানের মুদ্রার নাম কি

প্রত্যেকটা দেশের টাকার বা মুদ্রার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে।আপনি যেহেতু ওমানে যেতে যাচ্ছেন কাজের উদ্দেশ্যে অবশ্যই আপনাকে ওমানের মুদ্রার নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। ওমানের মুদ্রার নাম হচ্ছে রিয়াল। আমরা যেমন বাংলাদেশের মুদ্রাকে টাকা হিসেবে বলি তেমনি ওমানের মুদ্রাকে রিয়াল হিসাবে গণনা করে।প্রত্যেক দেশের মুদ্রার একটি নির্দিষ্ট করে নাম রয়েছে। ওমানের মুদ্রার সঠিক নাম হলো ওমানি রিয়াল।

ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪

ওমানের রিয়ালের মূল্য প্রতিনিয়ত বাজার মূল্য অনুযায়ী উঠানামা করে।আপনারা যখন ওমান থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবেন তখন অবশ্যই বাজারে রিয়ালের মূল্যের সঠিকভাবে যাচাই করে নিবেন।

যখন রিয়ালের বাজার মূল্য বাড়তি থাকবে তখন বাংলাদেশে টাকা পাঠালে আপনারা লাভবান হবেন ।আর যদি বাজার মূল্য কম থাকে তখন টাকা পাঠান তখন বেশি একটা লাভবান হতে পারবেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওমানের ১০০ রিয়ালে বাংলাদেশের কত টাকা।

আজকের বাজার মূল্য অনুযায়ী ওমানের রিয়ালের তালিকা

  • ওমানি এক রিয়াল সমান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮৫ টাকা ২০ পয়সা
  • ওমানের দশ টাকা অর্থাৎ ১০ রিয়ালের সমান বাংলাদেশের প্রায় ২,৮৫২ টাকা
  • ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ২৮ হাজার ৫২০ টাকা।
  • ওমানের ১০০০ রিয়াল সমান বাংলাদেশের প্রায় ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা ।
আশা করি এতক্ষন ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা জানতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত ওমানের রিয়ালের মূল্য বাজার অনুযায়ী বাড়তেও পারে কমতেও পারে। সুতরাং ওমানের রিয়াল বাংলাদেশী টাকা এক্সচেঞ্জ করার আগে অবশ্যই বাজারের সঠিক মূল্য জেনে নিবেন।

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে অনেক চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে।আপনারা যদি ওমানে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রতিবছর নানা কাজের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ওমানের কাজের জন্য যায়।

দেখে নেওয়া যাক ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি।ট্রান্সপোর্ট বা ড্রাইভিং কাজ:আপনি যদি ওমানে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন কারণ ওমানের ড্রাইভিং এর কাজে অনেক চাহিদা। তবে অবশ্যই আপনার সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

রেস্টুরেন্ট এর কাজ: ওমানে কেএফসির মত বড় বড় অনেক ধরনের রেস্টুরেন্ট রয়েছে।আপনি যদি রেস্টুরেন্ট কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে ওমানে ভালো পর্যায়ে কাজ করতে পারবেন।

ইলেকট্রিশিয়ান কাজ: ইলেকট্রিশিয়ান কাজ দেশের সব জায়গায় অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন।অথবা ইলেকট্রিশিয়ান কাজের সার্টিফিকেট আপনার সাথে থাকে তাহলে ওমানে ইলেকট্রনের কাজ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

প্লাম্বারের কাজ: প্লাম্বারের কাজ কম বেশি সবাইকে করতে দেখা যায়। কারণ ওমানে সর্বপ্রথম যাওয়ার পরে ভালো কাজ না পাওয়া পর্যন্ত প্লাম্বারের কাজ মোটামুটি করা যায়। তবে প্লাম্বারের বেতন কিন্তু খারাপ না। ভালোমতো কাজ করলে প্লাম্বার এর কাজ থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কনস্ট্রাকশনের এর কাজ: বাংলাদেশের অনেক যুবক ছেলে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে তারা যদি ওমানে কনস্ট্রাকশন এর কাজের ভিসা নিয়ে যায় তাহলে প্রতিমাসে বাংলাদেশের যে টাকা ইনকাম করতো তার থেকে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ওমানে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

কৃষি কাজ: ছোট বড় সব দেশে কৃষি কাজ রয়েছে আপনি যদি কৃষিকাজ করে থাকেন অথবা কৃষি কাজে অভিজ্ঞতা আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওমানে কৃষি কাজ করতে পারেন। কারণ ওমানে কৃষি কাজ করার জন্য অনেক শ্রমিক প্রয়োজন হয়।

এ সকল কাজের পাশাপাশি যারা ভালো এডুকেশন অর্থাৎ ভালো ইংরেজিতে কথা বলতে পারে তারা ভালো ভালো অফিসে বা রেস্টুরেন্টের উচ্চ পদে চাকরি করতে পারে।তবে ওমানের সবথেকে ড্রাইভিং এর চাহিদা একটু বেশি।

ওমানে কোন কাজের বেতন কত

ওমানে যারা কাজ করতে যাবেন তারা অবশ্যই ওমানে কোন কাজের বেতন কত এই সম্পর্কে জেনে তারপরে যাওয়া উত্তম।ওমানে কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়।আপনি যদি প্রথম অবস্থায় অভিজ্ঞতা ছাড়াও কাজ করেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আস্তে আস্তে দক্ষতা বাড়লে পরিশ্রম ভালো মতো করতে পারলে আপনার বেতন আরো বাড়তে পারে। এছাড়া যারা ড্রাইভিং করতে পারে তারা ড্রাইভিং এর লাইসেন্স সাথে নিয়ে যদি ওমানে কাজ করে তাহলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ে ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, ওমানের ভিসার দাম, বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত টাকা লাগে, ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা হয়,ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ওমানের কোন কাজে বেতন কত সকল তথ্য সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ওমান সম্পর্কিত সকল তথ্য জানার সুযোগ করে দিবেন। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো সকল তথ্য পেতে চোখ রাখুন আয়াত টিপছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url