কোন কোন মাছের আঁশ আছে এবং আঁশ বিহীন মাছের নাম

ইলিশ মাছ চেনার উপায় জানুন বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় প্রশ্নে দেখা যায় মাছ কোন শ্রেণীর প্রাণী? কোন মাছের আশঁ আছে ?আশঁ বিহীন মাছের নাম সহ মাছ সম্পর্কিত নানা রকম প্রশ্ন।তাই সকলের সুবিধার্থে আজকে জানাবো মাস কোন শ্রেণীর প্রাণী, কোন মাছের আশঁ আছে, আঁশ বিহীন মাছের নাম।
কোন কোন মাছের আঁশ আছে এবং আঁশ বিহীন মাছের নাম
পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মাছের প্রজাতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ এবং ২৬০ প্রজাতির স্বাদু জলের মাছ পাওয়া যায়।আমাদের দেশে এত প্রজাতির মাছ পাওয়া গেল আমরা অনেকেই জানি নামাজ কোন শ্রেণীর প্রাণী এবং কোন মাছের আঁশ আছে।
সূচিপত্রঃ কোন কোন মাছের আঁশ আছে 

ভূমিকা

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। বাংলাদেশের অধিকাংশ ঐতিহ্য মিশে আছে মাছ নিয়ে।এখন প্রায় সময় আমাদের পরীক্ষার প্রশ্নের মধ্যে দেখা যায় মাছ সম্পর্কিত নানারকম প্রশ্ন থাকে।মাছ সম্পর্কে নানা রকম প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকে।
তাই আজকে আর্টিকেল আপনাদেরকে জানাবো মাছের বৈশিষ্ট্য, মাছ কোন শ্রেণীর প্রাণী, মাছ কত প্রকার ও কি কি, মাছ কি খায়, কোন মাছের আশঁ আছে, আশঁ বিহীন মাছ সহ মাছের আঁশ কত প্রকার ও কি কি সকল তথ্য জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মাছ কোন শ্রেণীর প্রাণী

মাছ হলো শীতল রক্ত বিশিষ্ট মেরুদন্ডী প্রাণী। মাছ বিভিন্ন বিবর্তনীয় রেখার বিভিন্ন মেরুদন্ডী প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এটি একটি শ্রেণীবিন্যাস গোষ্ঠীর পরিবর্তে একটি জীবনরূপ বর্ণনা করে।

মাছের বৈশিষ্ট্য

মাছ সাধারণত সমুদ্রের নোনা জল এবং স্বাদু জলের মধ্যে পাওয়া যায়। সমুদ্র, খাল, বিল, নদী নালা, পুকুর, হাওর,অথবা ডুবায় বাস করে থাকে। উঁচু উঁচু পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে শুরু করে মহাসাগরের গহীনে যেখানেই জল রয়েছে সেখানেই মাছের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়।
  • মাছ হলো রক্ত বিশিষ্ট শীতল মেরুদন্ডী প্রাণী।
  • মাছের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ফুলকা রয়েছে।
  • মাছের চলাচলের জন্য অযুগ্ন অথবা যুগ্ম পাখনা রয়েছে।
  • বেশিরভাগ মাছের দেহে আশঁ থাকে। তবে আশঁ নেই এমন মাছ সংখ্যাও অনেক রয়েছে।
  • মাছ জলকে বসবাসের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।

বাংলাদেশে কত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির মাঝ হুমকির সম্মুখীন। দিন দিন বাংলাদেশের মাসের জাত কমে আসছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ থেকে ২৬০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ পাওয়া যায়। এবং সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় মোট ৪৭৫ প্রজাতির। এছাড়াও আরো অনেক প্রজাতির মাছ চাষকৃত ভাবে পাওয়া যায় এবং আরো অনেক রকমের মাছ একুরিয়ামের মাধ্যমে বিদেশি মাছ দেখা যায়।

মাছ কি খায় এবং প্রাকৃতিক খাদ্য কি

মাছ কি খায় এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে মাছ কোথায় বসবাস করে। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি সকল প্রকার মাছ জলে বসবাস করে। জল যেই খানে মাছ সেখানে। মাঝের জীবনধারণের মাধ্যম হচ্ছে পানি।
জলাশয়ের মাধ্যমে পানিতে স্বাভাবিকভাবে যে সকল খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন হয় সেগুলোকে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য বলা হয়।যেমন : জলে থাকা কীটপতঙ্গ উদ্ভিদ,পানা,পানির নিচে থাকা পচা জৈব পদার্থ, পানিতে থাকা শেওলা।এছাড়া মাছ বিষাক্ত কোন খাবার ছাড়া সব খাবারই প্রায় খায়।

মাছের আঁশ কত প্রকার ও কি কি?

অধিকাংশ মাছের মধ্যে আঁশ দেখা যায়।তবে আমরা অনেকেই জানিনা মাছের আঁশ কত প্রকার ও কি কি। মাছের আঁশ পাঁচ প্রকার।যথাঃ
  • প্ল্যাকয়েড
  • সাইক্লয়েড
  • গ্যানয়েড
  • কসময়েড
  • টিনয়েড

কোন কোন মাছের আঁশ আছে

আমরা প্রতিদিন যে সকল মাছ খাই তার মধ্যে বেশিরভাগ মাছ আঁশ যুক্ত।চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন মাছের আঁশ আছে

ইলিশঃ ইলিশ আমাদের অতি পছন্দের একটি মাছ। এই ইলিশ মাছ আশঁ যুক্ত।ইলিশ মাছ সামুদ্রিক মাছ।ইলিশ মাছ খেতে খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিতে ভরপুর। যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ সহ অনেক উপকারী প্রধান রয়েছে।

রুইঃ মিঠা পানির মাছ এর নাম উঠলে সর্বপ্রথম সবার পছন্দের তালিকায় থাকে অতি পরিচিত রুই মাছ। রুই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিগুণের ভান্ডার। এই রুই মাছে অন্যান্য উপাদানের থেকে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই বেশি।

কাতলঃ কাতল মাছ সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ।আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে কাতল মাছ। যা কাতল মাছের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের হাটকে সুস্থ রাখে এবং দৃষ্টি শক্তি উন্নতি ঘটায়।

পুটিঁ বা সরপুটিঁঃ ছোট মাছের মধ্যে বাংলাদেশের পুটি মাছের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ এই পুটি মাছটি সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়। পুটিঁ মাছে থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় গঠনের বিশেষ ভূমিকা পালন করে।পুটিঁ মাছ সাধারণত খাল, বিল, নদী-নালা পা পুকুরের মধ্যে পাওয়া যায়।

কৈ মাছঃ কৈ মাছ সাধারণত স্বাদু পানির মধ্যে পাওয়া যায়।এই কৈ মাছ অনেক দেশেই পাওয়া যায় যেমন ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া, চীন ইত্যাদি।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ আশঁ যুক্ত মাছকে পছন্দ করে।আমাদের প্রতিদিন শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে যে সকল মাছ খেয়ে থাকি তার মধ্যে বেশিরভাগ মাছি আঁশযুক্ত।যে সকল মাছের উপরে আলাদা করে আবরণ রয়েছে সেগুলো আশঁ যুক্ত মাছ।অর্থাৎ মাছের চামড়ার উপরে আলাদা করে আবরণ থাকে।কোন কোন মাছের আঁশ আছে সম্পর্কে জানা হয়ে থাকলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক আশঁ বিহীন মাছ সম্পর্কে।

আঁশ বিহীন মাছের নাম

আশঁ বিহীন মাছ তেমন কেউ পছন্দ করে না। কারণ আশঁ বিহীন মাছ বেশিরভাগ সময় পচা মল এবং অন্যান্য প্রাণীর মল খায়। তবে চাষ করা আশঁ বিগীন মাছ খাওয়া যায়। আশঁ বিহীন মাছের নাম গুলো হলঃ
  • বোয়াল
  • টেংরা
  • পাবদা
  • মাগুর
  • শিং
  • পাঙ্গাস
  • আইর
  • বোয়াল ইত্যাদি
যে সকল মাছের পিঠের উপরে আলাদা করে আবরণ থাকেনা সেগুলোকে আশঁ বিহীন মাছ বলা হয়। এ সকল আঁশ বিহীন মাছ খাওয়ার আগে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করে নিবেন এটিকে চাষ করা নাকি কোন ময়লা পানি থেকে নিয়ে এসেছে।

মাছের আঁশ থাকার কারণ

প্রতিনিয়ত আমরা নানান রকমের মাছ খেয়ে থাকি। এইসব মাছে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে বেশিরভাগ মাছে আঁশ রয়েছে।এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে মাছের আশঁ থাকার কারণ কি? মাছের শরীরে আশঁ থাকে দেহ রক্ষার জন্য। শরীরে আঁশ থাকার কারণে পানিতে থাকলে কোন প্রকার অসুবিধা হয় না বা সিক্ত হয় না। আশঁ হচ্ছে দেহ রক্ষার আবরণ।

মাছের আঁশ দিয়ে কি হয়?

মাছের আশঁ দিয়ে অনেক কিছু করা হয়। প্রতিবছর মাছের আশঁ বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার টনেরও বেশি রপ্তানি হয়। এই রপ্তানিকৃত আশঁ গুলো জাপান, ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মত দেশগুলোতে যায়।এই দেশগুলোতে মাছের আঁশ দিয়ে নানা রকম জিনিস তৈরি করে কোলাজেন ও জিলেটিন সহ ফুড সাপ্লিমেন্ট, ওষুধ,প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে মাছের আঁশ ব্যবহৃত হয় ।

লেখক এর মন্তব্য

বাঙালির সব থেকে পছন্দের খাবার হচ্ছে মাছ।এর জন্য বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি।আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন কোন মাছের আঁশ আছে, আঁশবিহীন মাছের নাম, মাছের আঁশ থাকার কারণ, বাংলাদেশে কত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, মাছের আঁশ কত প্রকার ও কি কি, মাছ কি খায় সহ মাছ সম্পর্কিত সকল তথ্য ও সুন্দরভাবে জানতে পেরেছেন।

আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারা মাছ সম্পর্কে আরো জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url