বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় জানুন
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের স্বপ্ন রয়েছে ইউরোপের কোন এক দেশে যাওয়ার।তবে অনেকেই
জানেনা বাংলাদেশ থেকে সহজে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং বাংলাদেশ থেকে
ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।যদি আপনার স্বপ্ন থেকে থাকে ইউরোপে যাওয়ার তাহলে
এই পোস্টটি আপনার জন্য।
মানুষ যদি চিন্তা করে আমি বিদেশে যাব সেই ক্ষেত্রে ইউরোপ দেশগুলোকে প্রাধান্য
বেশি দিয়ে থাকে।কারণ ইউরোপের প্রায় সব দেশগুলোই অন্যান্য দেশের থেকে অনেক উন্নত
এবং জীবনযাত্রার মান বেশ ভালো।
সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
ভূমিকা
এই ইউরোপের উত্তরে রয়েছে মহাসাগর পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর পশ্চিমে
উপদ্বীপকে নিয়ে গঠিত ইউরোপ কান্ট্রি।ইউরোপের সেনজেনভুক্ত ভিসা পেলে ২৭ টি দেশে
আপনি বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।ইউরোপের দেশগুলো এত উন্নত হয়েছে যে ইউরোপের
কোন এক দেশে যাওয়া বর্তমানে মানুষদের একটি স্বপ্নের মত হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪
তবে অনেকেই জানেনা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়, কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে
যাওয়া যায়,বাংলাদেশে ইউরোপ ভিসা এজেন্সি কোথায়, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন
দেশে যাওয়া যায়, সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় এবং ইউরোপের ভিসা আবেদন
কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে।চিন্তার কোন বিষয় নেই ইউরোপের সকল তথ্য এই
আর্টিকেল রয়েছে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন অবশ্যই সবকিছু জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে সহজে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
অন্যান্য দেশসহ আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ ইউরোপের
দেশগুলোতে যেতে চাই।তবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেই
সম্পর্কে কারো ধারণা নেই। চলুন জনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন
দেশে যাওয়া যায়।
পর্তুগাল
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে আবেদন করলে অনেক তাড়াতাড়ি পর্তুগালের ভিসা অনেক
সহজেই পাওয়া যায়।বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের ভিসা পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয় তবে
আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য পর্তুগালে যেতে চান তাহলে IELTS করে যেতে হবে এবং
সর্বনিম্ন ৬ স্কোর হতে হবে।
ফ্রান্স
আপনার স্বপ্ন যদি হয় ফ্রান্সে যাওয়ার তাহলে আপনি টুরিস্ট অথবা স্টুডেন্ট
ভিসার আবেদন করতে পারেন। টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে মিনিমাম আপনাকে এশিয়া
মহাদেশের ভিতরে কয়েকটি দেশে ঘুরে আসতে হবে এবং আপনার পাসপোর্টে দেখাতে হবে যে
আপনি অনেকগুলো দেশে ঘুরেছেন টুরিস্ট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন।স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে
হলে অবশ্যই আপনাকে IELTS করে যেতে হবে। আর আপনি যদি কাজে করার উদ্দেশ্যে
ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট সাথে নিয়ে যেতে হবে। এতে একটু
সময় লাগবে তবে কাগজপত্র ঠিক থাকলে তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।
রোমানিয়া
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার লোক রোমানিয়াতে
পাঠাচ্ছেন।যারা কাজ করার জন্য রোমানিয়া যেতে চান তারা খুব সহজে ভিসা পেয়ে
যাবেন। অল্প খরচের ভিতর ইউরোপে যেতে চান তাহলে রোমানের দেশ বেছে নিতে পারেন
ইউরোপের মধ্যে অল্প খরাজে রোমানিয়া যাওয়া যায়।
সুইজারল্যান্ড
প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য উপভোগ করতে যায়।সকল ইউরোপ কান্ট্রি সহ পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর দেশ
গুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে যদি টুরিস্ট ভিসার
আবেদন করেন তাহলে সহজে সুইজারল্যান্ডের ভিসা পেয়ে যাবেন।
মাল্টা
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে মালটার ভিসা নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাল্টা কাজের
জন্য যাচ্ছে। ইউরোপের মধ্যে মালটাকে দ্বীপের দেশ বলা হয়। কারণ সাতটি দ্বীপ
নিয়ে মালটা গঠিত। অল্প খরচের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট সহ মাল্টাতে যাওয়া খুবই
সহজ।
ইতালি
অন্যান্য দেশসহ বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষই বর্তমানে ইতালিতে থাকে। টুরিস্ট
ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, জব পারমিট ভিসা এবং কৃষি ভিসা প্রত্যেক বছর ইতালি থেকে এ
ধরনের ভিসা ছেড়ে থাকে। সরকারিভাবে আবেদন করার পর তিন থেকে চার মাসের মধ্যে
আপনি যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারিভাবে আবেদন করলে অতি দ্রুত ইতালি ভিসা পেতে
পারেন।
হাঙ্গেরি
প্রতিবছর হাজার হাজার স্টুডেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে হাঙ্গেরিতে যাচ্ছে।শুধু
স্টুডেন্ট ভিসায় পাওয়া যায় এমনটা নয় বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জব পারমিত
দেওয়া হচ্ছে।বেশিরভাগ মানুষই হাঙ্গেরিতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। কারণ হাতে
খুব দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়।
নেদারল্যান্ড
প্রতিবছরে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা সুযোগ পেয়ে থাকে।পড়াশোনার জন্য ইউরোপের মধ্যে
নেদারল্যান্ডের ভিসা অতি সহজে পাওয়া যায়।
আশা করি সবাই জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে সহজে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া
যায়।তবে এখন জানা যাক সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
বিশ্বের মধ্যে যে কয়টি উন্নত রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে ইউরোপ কান্ট্রি গুলো
অন্যতম।উন্নত জীবন যাপনের জন্য সবাই ইউরোপে যেতে চায়।তবে সরকারিভাবে ইউরোপ
যাওয়ার উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে দুঃখজনকভাবে বলা লাগছে যে আমরা দালালের
সাহায্য নাই। দালালের সাহায্যে ইউরোপে যাওয়ার ফলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সরকারি কলেজের তালিকা
ইউরোপে যাওয়ার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে
হবে। নিজস্ব একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং সেই পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন
মেয়াদ ছয় মাস থাকতে হবে বেশি থাকলে ভালো হয়। সরকারিভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন
জেলায় ইউরোপের এম্বাসি রয়েছে অথবা এজেন্সি রয়েছে। আপনি ইউরোপের যেই দেশে
যাবেন সেই দেশ গুগোল এ সার্চ করে দেখতে পারেন।
এম্বাসি কোথায় রয়েছে অথবা সরকারি ভাবে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।অর্থাৎ সরকার
অনুমোদিত এজেন্সি থাকলে সেইগুলো থেকে ইউরোপিয়ান ভিসা পাওয়া যায়। সরকারিভাবে
প্রতি বছর ইউরোপের অনেক ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার
পাসপোর্ট জমা দিয়ে সরকারিভাবে আবেদন করার ফলে আপনি ভিসা পেতে পারেন।
সরকারিভাবে আবেদন করার ফলে কিছুটা সময় দেরি হলো আপনার জীবনের ঝুঁকি থাকবে
না।মনে রাখবেন জীবনের মূল্য সব থেকে বেশি।দালালের মাধ্যমে সাগর পাড়ি দিয়ে
নিজেকে মৃত্যুর মুখে ফেলে ইউরোপে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।নিজের জীবনের কথা
চিন্তা করে পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে অবশ্যই সঠিক পথে যাওয়ার চেষ্টা
করবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
বিশ্বের উল্লেখযোগ্য নামিদামি দেশগুলো হলো সেনজেন এর অন্তর্ভুক্ত ইউরোপ
দেশ।নিজেকে নতুন ভাবে পরিবর্তন করতে উন্নত জীবন যাপন করার জন্য বাংলাদেশ থেকে
ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় হলো মোট দুইটি।
১.টুরিস্ট ভিসা
২.স্টুডেন্ট ভিসা
এই দুইটি বিষয় অবলম্বন করে আপনি ইউরোপ কান্ট্রিতে ঢুকতে পারবেন। স্টুডেন্ট
ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসার আবেদন করে রোমানিয়া, মালটা, সার্বিয়া আর্মেনিয়ার মত
দেশগুলোতে যেতে পারেন অতি সহজে। তবে অন্যান্য ইউরোপ কান্ট্রিতে আপনি ওয়ার্ক
পারমিট নিয়ে যেতে পারেন তবে তার থেকে বেশি সহজ হবে এই স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট
ভিসার ফলে।
ওয়ার্ক পারমিটে যাওয়ার ফলে আপনার সময় এবং টাকা দুটোই অনেক বেশি লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ইউরোপের ভিসার আবেদন করতে পারেন। প্রথমে
আপনি ইউরোপের কোন দেশে যাবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে আপনার ভিসা ফ্রি
দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। আপনার সকল তথ্য এবং
কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি অতি সহজেই ইউরোপের ভিসা পেতে পারেন।
ইউরোপের ভিসা আবেদন
ইউরোপের ভিসা আবেদন করার আগে সর্বপ্রথম আপনাকে সিলেট করতে হবে আপনি ইউরোপের কোন
দেশে যেতে চাচ্ছেন। আপনি ইউরোপের যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের নাম লিখে
গুগলের সার্চ করে সেই দেশের ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি রিকমেন্ডেশন রয়েছে তা
জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
পরে আপনি ইউরোপের যে দেশে যাবেন সেই দেশের এম্বাসি কোথায় রয়েছে আপনি সরাসরি
এম্বাসে যেও আবেদন করতে পারেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে ইউরোপের বিষয়ে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন, আপনার
শিক্ষাগত সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় আরো তথ্য জানতে যাবে সে সকল ডকুমেন্ট সাথে
রাখতে হবে।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
সবথেকে সহজে এবং কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় অনেকেই জানতে চায়। সব
থেকে কম খরচের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো হল
- মালটা
- সর্বিয়া
- রোমানিয়া
- গ্রীস
আপনি যদি কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত এই চারটি দেশে
আপনি অতি সহজে কম খরচে যেতে পারবেন। ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে এই দেশগুলোতে
আপনি সরকারি ভাবে যেতে পারেন।
বাংলাদেশে ইউরোপ ভিসা এজেন্সি কোথায়
বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইউরোপের ভিসা এজেন্সি অনেক জায়গায় রয়েছে।আপনি
ইউরোপের যে দেশে যাবেন সেই দেশের নাম লিখে গুগল ম্যাপে সার্চ করলে ওই দেশের
এম্বাসি কোথায় সেটা আপনি জানতে পারবেন। অথবা ইউরোপ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের
প্রায় সরকারি অনুমোদিত অনেকগুলো এজেন্সি রয়েছে।আপনি গুগল ম্যাপে সার্চ করলে
আপনার আশেপাশে যেগুলো সরকারি এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর তালিকা দেখতে পাবেন।
মনে রাখবেন ভিসা পাওয়ার পরে টাকা পরিশোধ করবেন।ভিসা আবেদনের ফি পরিশোধ করতে
বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না।এজেন্সির মাধ্যমে ইউরোপের ভিসা পাওয়ার জন্য
সর্বপ্রথম আপনার সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। এর থেকে কম
লাগতে পারে বেশিও লাগতে পারে তা নির্ভর করে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যাবেন সেটার
উপর বিবেচনা করে।
পরিশেষ কথা
আমাদের কমবেশি সব মানুষেরই স্বপ্ন রয়েছে ইউরোপের দেশে যাওয়ার জন্য। তবে সঠিক
পথে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। দালালদের পাল্লায় পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে
আপনার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।এতখন আর্টিকেলটি পর অবশ্যই জানতে পেরেছেন
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়,বাংলাদেশ থেকে সহজে ইউরোপের কোন কোন দেশে
যাওয়া যায়,সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় সহ ইউরোপের সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করবেন যাতে তারা উপকৃত হয়। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আরো
কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url