মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ ও মালয়েশিয়া ভিসা চেক

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সারা বিশ্বের উন্নত দেশের তালিকার মধ্যে মালোশিয়া দেশটি রয়েছে।তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে, মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ সেই সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন এই পোস্টটি তাদের জন্য।
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ ও মালয়েশিয়া ভিসা চেক
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যায়।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মালয়েশিয়া খুব সহজভাবে যাওয়া যায়।বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং মালোশিয়া ভিসা চেক ও মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪

ভূমিকা

মালয়েশিয়া মোটামুটি অনেক উন্নত যার কারণে সব ধরনের কাজ অতি সহজে পাওয়া যায়। বর্তমানে যারা অল্প খরচে বিদেশে গিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করতে চায় তারা অধিকাংশ মানুষ মালয়েশিয়া কাজ করার জন্য নির্বাচিত করে।কারণ আগে থেকেই অনেক বাঙালি মালয়েশিয়াতে জীবিকা নির্বাহের জন্য বছরের পর বছর বসবাস করে থাকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে, মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ , মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু রয়েছে, মালোশিয়ার ভিসা পেতে কতদিন লাগে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক সহ মালয়েশিয়ার আরো সকল তথ্য।

মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু আছে

যারা ২০২৪ সালের নতুন করে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন কিন্তু বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত এবং মালয়েশিয়ায় কোন কোন ভিসা চালু রয়েছে জানেন না তাদের সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করা হলো মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু আছে।
  • মেডিকেল ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • এন্ট্রি ভিসা
  • ভ্রমণ বা টুরিস্ট ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • ফ্রি ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসা
  • কনস্ট্রাকশন ভিসা
  • ফ্যাক্টরি ভিসা
বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ জব পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যায়।আপনিও যদি কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন।মালয়েশিয়ায় কোন কোন ভিসা চালু আছে আশা করি জানতে পেরেছেন। তবে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪।

মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪

যারা নতুন করে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে যাচ্ছেন এক নজরে দেখে নিন বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত।

টুরিস্ট ভিসাঃ যারা ভ্রমণ প্রেমী অথবা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা চাইলে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে পারেন। কারণ মালয়েশিয়া যেমন উন্নত একটি দেশ তেমনি খুব সুন্দর সুন্দর দেখার মত জায়গা রয়েছে। আপনারা চাইলে অতি সহজে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো উপভোগ করতে পারেন।

যারা মানুষের টুরিস্ট ভিসায় যেতে যাচ্ছেন তাদের সব খরচ সহ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এর থেকে বেশিও খরচ হতে পারে সেটা নির্ভর করে আপনি কতদিন থাকবেন এবং কোথায় কোথায় ঘুরবেন।তবে কোন ভ্রমণ গাইড এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এক থেকে দুই লক্ষ টাকার মধ্যেই আপনার মালয়েশিয়া ভ্রমণ হয়ে যাবে।

ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসাঃ প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে যায়। মালয়েশিয়াতে কোন ফ্যাক্টরিতে জব পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করলে অনেক বেতন পাওয়া যায়।বাংলাদেশের বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া জব পারমিট ভিসাতে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।তাছাড়া যদি আপনি সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে মালয়েশিয়াতে যেতে চান তাহলে ২ লক্ষ বা তার তো একটু বেশি খরচ হতে পারে।

ফ্রি ভিসাঃ মালোশিয়ায় টুরিস্ট ভিস, জব পারমিট ভিসা বিজনেস ভিসা ইত্যাদি সহ ফ্রি ভিসা রয়েছে। ফ্রি ভিসার অনেক সুযোগ সুবিধা থাকায় অনেকেই আগ্রহী হয় ফ্রি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য। অন্যান্য কোম্পানি ভিসায় মালয়েশিয়া গেলে কোম্পানির কাছে বাঁধা থাকতে হয়। আপনার ভালো লাগলো কোম্পানিতে চাকরি করতে হবে, না ভালো লাগলেও কোম্পানিতে চাকরি করতে হবে।

তবে ফ্রি ভিসায় মালয়েশিয়াতে গেলে কারো কাছে কোন বাঁধা থাকতে হবে না। আপনার যেখানে খুশি যে কোম্পানিতে ভালো লাগে ওই কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসায় মালয়েশিয়ায় যেতে চার লক্ষ টাকা থেকে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো খরচ লাগতে পারে।

অন্যান্য যে সকল ভিসা রয়েছে কনস্ট্রাকশন ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এ সকল ভিসার দাম সঠিকভাবে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন কারণবশত ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনারা যদি সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী মালয়েশিয়া যান তাহলে সবচেয়ে খরচ কম হবে।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে?

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই এখন রয়েছে। যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া কাজ করতে চান তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনায় বলা হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কাজের ভিসা জন্য সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ নির্ধারিত করেছে।প্লেনের ভাড়া,পাসপোর্ট এর খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কল্যাণ ফি, বীমা, স্মার্ট কার্ড ফি,নিবন্ধন ফি,এজেন্সি সার্ভিস চার্জ সহ অন্যান্য নিজস্ব খরচ বহন করতে হবে।বাকি যে সকল খরচ লাগবে সেগুলো কোম্পানি থেকে বহন করা হবে। আশা করি সবাই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪ এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।

মালোশিয়ার টাকার মান কত

মালোশিয়ার টাকাকে রিংগিত বলে।অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মালয়েশিয়ার টাকার মান প্রায় সময় উঠানামা করে। তবে বর্তমানে সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী মালয়েশিয়ার এক রিংগিত সমান বাংলাদেশের প্রায় ২৪ থেকে ২৫ টাকার সমান।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করে থাকেন এবং ভিসার কাগজ হাতে পেয়ে থাকেন।অথবা ভিসা আবেদনের কোন প্রকার স্ট্যাটাস আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার নিবন্ধিত পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার ভিসা অতি সহজে চেক করতে পারেন।
মালয়েশিয়ার ভিসা সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। যেমন 

১.নরমাল বা কলিং ভিসা

২.ই ভিসা

এই দুই ধরনের ভিসা চেক করতে হলে প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে তাদের ওয়েবসাইটে তার ধাপে ধাপে সকল তথ্য দিয়ে আপনার ভিসা চেক করতে পারবেন

নরমাল বা কলিং ভিসা

  • প্রথমে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • তারপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি দিতে হবে।
  • পরের জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশি সিলেক্ট করতে হবে ।
  • সর্বশেষে Craian বাটনে ক্লিক করলে মানুষের ভিসার সকল তথ্য পাওয়া যাবে।

মালয়েশিয়া ভিসা চেক
সকল তথ্য ঠিকমতো দেওয়ার পরে যখন সার্চ বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনার নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ দেখতে পারবেন। যদি আপনার নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ দেখতে পান তাহলে বুঝবেন বিষয়টি সম্পূর্ণ বৈধ।

ই ভিসা চেক

  • সর্বপ্রথম ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে ।
  • এরপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিন।
  • ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিন।
  • এরপর আপনার আবেদনকৃত ভিসা কপি থেকে পাওয়া স্টিকার নাম্বারটা দিন।
  • তারপর ইমেজের মাধ্যমে আপনার কিছু কোড আসবে সেই নাম্বারগুলো প্রদান করুন।
  • এবং সর্বশেষ চেক বাটনে ক্লিক করলে ই ভিসার সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

মালয়েশিয়া ভিসা চেক
বর্তমানে অনেক দালালের পাল্লায় পড়ে সাধারণ মানুষের টাকা নষ্ট হয়ে যায়।বর্তমানে অনেক দালাল রয়েছে যারা নকল ভিসা দিয়ে থাকে। এই দালালের পাল্লায় পড়ে অনেক রকম হয় আমি স্বীকার হতে হয়। সুতরাং মালোশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা সঠিক কিনা অথবা বৈধ কিনা চেক করুন।

মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসার অনেক চাপ রয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যায়।সাধারণত মালোশিয়ার ভিসা পেতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝে অন্যান্য সমস্যার কারণে এর থেকে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত

বর্তমানে অনেকেই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে চায় কারণ দূর দেশে যাওয়ার পর কাজের জন্য ঘোরাঘুরি করতে হয় না। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার সাথে সাথেই কাজের জয়েন করতে পারে। বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কাজ করে ওভার টাইমসহ প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়।

আপনি নতুন অবস্থায় যে যে কোন কোম্পানিতে কাজ করলে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন ওভারটাইমসহ। আপনার কোম্পানি এবং কাজের ধরন বুঝে বেতন পাবেন।

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশনের কাজের বেতন সর্বনিম্ন ত্রিশ হাজার টাকা থেকে শুরু। তবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ভালো থাকলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারেন।বর্তমানে নতুন নতুন কোম্পানি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে মালয়েশিয়াতে এর জন্য কনস্ট্রাকশন এর কাজের প্রচুর চাহিদা মালয়েশিয়া। আপনি যদি কোন সেকশন কাজে অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেন তাহলে মালয়েশিয়া যেতে পারেন। মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশনের ভিসা অতি সহজে পাওয়া যায়।

লেখক এর শেষ কথা

বর্তমানে মালয়েশিয়াতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে বিভিন্ন কাজের আলাদা বেতনও রয়েছে।এতক্ষণে আপনারা জানতে পেরেছেন মালয়েশিয়ায় কোন কোন ভিসা চালু আছে, মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত ২০২৪, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক সহ মালয়েশিয়া সম্পর্কে অন্যান্য সকল তথ্য জানতে পেরেছি।

কোন প্রকার দালালের পাল্লায় পড়বেন না এজেন্সির মাধ্যমে অথবা সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বাই পথে বা নদী পথে যাওয়ার কোন প্রকার চেষ্টা করবেন না। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মালয়েশিয়া সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url