গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা জানুন আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব কিভাবে গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং তৈরি করবেনল ও ডিমের পুডিং এর উপকারিতা নিয়ে। ডিমের পুডিং বর্তমান সময়ের মুখলচনীয় একটি খাবার। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দেরও ডিমের পুডিং অনেক পছন্দ করে থাকে।
গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি
সকলের এই পছন্দের খাবারটি তৈরি করতে যেমন সহজ খেতে তেমনি মজাদার এবং লোভনীয়।চলুন জেনে নেই গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি এবং ডিমের পুডিং এর উপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্র: গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি

ভূমিকা

ডিমের পুডিং বানানো অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানো যায় কিনা। আসলে গ্যাসের চুলায়‌ও ডিমের পুডিং বানানো সম্ভব। অনেকেই আবার মনে করে ডিমের পুডিং বানানো বুঝি অনেক কষ্টসাধ্য ও অতিরিক্ত খরচ হয়। তাই আজকের আর্টিকেলে সহজে কিভাবে গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি ও ডিমের পুডিং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি

ডিমের পুডিং বানাতে আমাদের বিশেষ কিছু উপকরণ প্রয়োজন। অবশ্যই উপকরণগুলো পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে হবে। আপনারা অবশ্যই আমার রেসিপি মত করে ডিমের পুডিং বানানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন তাহলে সম্পূর্ণ রেসিপি সম্পর্কে জানা যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • গরুর দুধ ( ১/২ কেজি )
  • ডিম ( ১টি বা ২টি )
  • চিনি (পরিমাণ মতো)
  • ভ্যানিলা এসেন্সিয়াল (যদি থাকে)
ডিমের পুডিং তৈরি করার জন্য আমাদের প্রথমেই তৈরি করতে হবে ক্যারামেল।ক্যারামেল তৈরির উপকরণ:
  • চিনি ২ চামচ
  • পানি ১ চামচ
  • ঘি ( হাফ চামচ ) (যদি থাকে)
ট্যারামেল তৈরির জন্য প্রথমে উপরুক্ত উপাদান গুলো পরিমাণ মতো আপনাকে একটি টিফিন বক্সে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো করে মিশিয়ে এরপর চুলার ওপর একটি ফ্রাইপ্যান দিয়ে এতে টিফিন বক্সটি বসিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে। ক্যারামেল যখন বাদামি কালার হয়ে যাবে তখন এটি নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে ক্যারামেল শক্ত হয়ে যাবে। ক্যারামেল তৈরি করার পর আপনি পুডিং তৈরি করার প্রস্তুতি নিবেন।

ডিমের পুডিং বানানোর প্রস্তুত প্রণালী

ডিমের পুডিং তৈরি করার প্রথম এ গরুর দুধ জ্বাল করে ঘন করে নিতে হবে। আপনি যদি এক লিটার দুধ নিয়ে থাকেন তাহলে হাফ লিটার না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল করতে হবে। দুধ জ্বাল করে অবশ্যই ঘন করতে হবে। দুধের কালার যখন লালচে হয়ে আসবে তখন দুধ নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।

দুধ ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনি দুধের মধ্যে ডিম দিয়ে দিবেন। আপনি চাইলে ১টি ডিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে ২টি ডিম দিলে ডিমের পুডিং একটু ভালো হয়। একটি বড় পাত্রে ডিম ভেঙে নিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর দুধ দিয়ে আস্তে আস্তে দুধ ও ডিম কে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

দুধ ও ডিম ভালো করে মিশে গেলে এতে চিনি দিতে হবে। আপনি চাইলে হালকা লবণ ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, ডিম ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ক্যারামেল করে রাখা টিফিন বক্সে প্রস্তুতকৃত দুধ ঢেলে দিতে হবে। টিফিন বক্সে ঢাকনা দিয়ে ভালো করে আটকে দিতে হবে।

এরপর বড় একটি পাত্রে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ফুটিয়ে পাত্রের মাঝে টিফিন বক্সটি এমন করে বসিয়ে দিতে হবে যাতে পানি টিফিন বক্সে ঢাকনার ভিতর ঢুকে না যায়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গ্যাসের চুলায় তাপ দিলে ডিমের পুডিং তৈরি হয়ে যাবে। পুডিং তৈরি হয়ে গেলে টিফিন বক্স সহ ফ্রীজে এক থেকে দুই ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এই সময় পর পুডিং বের করে আপনি পরিবেশন করতে পারবেন।

ডিমের পুডিং এর উপকারিতা

ডিমের পুডিং খুবই প্রিয় একটি সুস্বাদু খাবার। যারা নাস্তায় মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তারা ইচ্ছা করলে প্রতিদিন নাস্তায় ডিমের পুডিং খেতে পারেন ডিমের পুডিং ছোট ও বড়দের জন্য খুবই উপকারী। তবে দেরি না করে জানা যাক ডিমের পুডিং এর উপকারিতা

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়ঃ শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ডিমের পুডিং খুব উপকারী একটি খাবার। কারণ দিনে রয়েছে কোলাইন এবং কোলেস্টেরল যা ছোট এবং বড়দের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।

হাড়ের বিকাশ ঘটায় ও শক্তি বাড়েঃ ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং আমাদের শরীরের হাড়ের বিকাশ ঘটায় ও শক্তি বাড়ায়।

লিভারের উপকারিতাঃ ডিমে থাকা সালফার ক্যারোটিন এবং কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে পাশাপাশি ভিটামিন বি ১২ যা আমাদের লিভারের সঠিক কার্যক্রমের জন্য অনেক উপকার।

চোখ ভালো রাখেঃ ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ডিমের ভিতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ল্যুটেইন রোদের খারাপ আলো থেকে চোখকে রক্ষা করে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। আপনার শিশুর চোখ ভালো রাখার জন্য দিনের পুডিং খাওয়াতে পারেন।
আমরা সবাই জানতে পেরেছি ডিমের পুডিং ডিম ও দুধ দিয়ে তৈরি। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা, প্রোটিন স্নেহ,এবং কোলেস্টেরল এর মত অনেক ভিটামিন। সুতরাং বুঝতেই পেরেছেন ডিমের পুডিং আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।

সতর্কতা

  • পুডিং অবশ্যই ঠান্ডা করে তারপর পরিবেশন পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে
  • গরম অবস্থায় পরিবেশন পাত্রে ঢালতে গেলে পুডিং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অবশ্যই দুধের পরিমাণ এর ওপর ডিম ব্যবহার করতে হবে। অল্প দুধে বেশি ডিম ব্যবহার করলে পুডিং এর মধ্যে ডিমের গন্ধ হতে পারে।
  • পুডিং বসাবার পূর্বে অবশ্যই পাত্রটির ঢাকনা থাকতে হবে। ঢাকনা না থাকলে পাত্রের পানি পুড়িয়ে মিশে যেতে পারে এতে করে পুডিং শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

মন্তব্য

আশা করি সবাই জানতে পেরেছেন ডিমের পুডিং এর উপকারিতা ও গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি সম্পর্কে।গ্যাসের চুলায় ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি অত্যন্ত সহজ। আশা করি আমার দেওয়া রেসিপি ফলো করে আপনারাও বাসায় ডিমের পুডিং তৈরি করবেন। ডিমের পুডিং তৈরি করলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কেমন হয়েছে এবং আপনার পরিবারের লোকজনদের কেমন লেগেছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। এরকম আরও টিপস পেতে www.ayattips.com পেজে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url