সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত ও ভ্রমণ খরচ ২০২৪
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম বর্তমানে ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি।আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা জানতে চাচ্ছেন সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত এবং সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪ সম্পর্কে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরেকটি নাম হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। সাজেকের চারিদিকে মেঘের রাজ্য সুন্দর পাহাড় মনোরম পরিবেশে নিয়ে তৈরি হয়েছে সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত ও সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য পেতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪
ভূমিকা
সাজেক ভ্যালি এরকম একটি জায়গা যেখানে গেলে সবাই মুগ্ধ হয়ে যাবে এবং প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবে।সাজেক একদিনেই আমাদের চোখের সামনে অনেক রকম সৌন্দর্য তুলে ধরে।সকালবেলা মেঘের রাজ্য দেখা যায় সাজেক ভ্যালিতে, দুপুর বেলায় অনেক রকম পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
এবং সন্ধ্যা বেলায় আদিবাসীদের উৎসব ও আদিবাসীদের জীবন যাপন নানা উদাহরণ দেখা যায়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪, সাজেক ভ্যালির উচ্চতা কত এবং সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য।
সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি।আপনি যদি ভ্রমণ প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে পুরো সাজেক ভ্যালিটাই আপনার জন্য দর্শনীয় স্থান হয়ে থাকবে।কারণ সাজেক ভ্যালি প্রকৃতির সকাল-বিকল রং বদলায়। চলুন জেনে নেই সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত।
এই বিখ্যাত সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্র বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা অবস্থিত।সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসেবে খ্যাত।সাজেকের উত্তর রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা,সাজেক ভ্যালির দক্ষিণে রয়েছে রাঙ্গামাটির লংগদু,ভারতের মিজোরাম রয়েছে সাজেক এর পূর্ব পাশে এবং পশ্চিমে রয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।
সাজেক ভ্যালি উচ্চতা কত
বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্পট সাজেক ভ্যালির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট। এর জন্যই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসেবে খ্যাত সাজেক ভ্যালি।চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার পথ।
ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতে ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় রাঙ্গামাটি জেলাতে সাজেক ভ্যালি থাকা অবস্থায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্যালিতে যেতে হয়। এর জন্য ঢাকা থেকে সাজেক মোট ৩৩৫.৫ কিলোমিটার প্রায়।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার পথে বাস যোগাযোগ ভালো থাকার কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়।চট্টগ্রাম থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হলে হাটহাজারী,বিবিরহাট, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা এবং খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যেতে হয়।
এর জন্য চট্টগ্রাম থেকে সাজেক প্রায় ১৭০ কিলোমিটারের পথ পারি দিতে হয়। ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার, চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হলো এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪ কত হবে।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪
পাহাড়ের ও মেঘের রূপ লাবণ্য দেখতে হলে অবশ্যই সাজেক যেতে হবে। অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে সাজেক ভ্যালি পর্যটকদের কাছে অতি পছন্দের।সাজেকের অবস্থার রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে যেতে হয়। তাই সর্বপ্রথম ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির বাসে উঠতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি অনেক বাস রয়েছে নন এসি ও এসি। আপনি যেটাতে কমফোর্ট ফিল করবেন ওটাতেই যেতে পারেন খাগড়াছড়ি।
নন এসিঃ নন এসি বাসের নির্ধারিত ভাড়া ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্তএস আলম, ঈগল, শান্তি পরিবহন, শ্যামলী, দেশ ট্রাভেল, সৌদিয়া, হানিফ এন্টারপ্রাইজ এই বাসগুলোতে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে পারেন।
এসিঃ এসি বাসের নির্ধারিত ভাড়া ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্তরিলাক্স ট্রান্সপোর্ট, সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস, দেশ ট্রাভেলস ইত্যাদি আরো অনেক বাস রয়েছে যেগুলো ঢাকা গাবতলী,ফকিরাপুল, আরামবাগ, কলাবাগান থেকে অথবা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে।
রাত দশটায় খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যায় বাসগুলো। এবং পরের দিন সকাল প্রায় ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায়।ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পর আপনার যাত্রা শুরু হবে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।খাগড়াছড়ি যাওয়ার পরে শাপলা চত্বরের সামনে চান্দের গাড়ি, জিপ গাড়ি, সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহন চোখে পড়বে।
যেগুলো আপনাকে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালিতে নিয়ে যাবে।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে চাদের গাড়ি সব থেকে জনপ্রিয় একটি যানবাহন। কারন চান্দের গাড়িতে বসে থেকে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সাজেক যাওয়া যায়।প্রত্যেকটি জিপ গাড়ি অথবা চান্দের গাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন বসা যায়।আপনাদের লোক সংখ্যা যদি কম হয়ে থাকে তাহলে অন্য কারো সাথে চান্দের গাড়ির সিট অথবা জিপ গাড়ির সিট শেয়ার করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে।খাগড়াছড়ির জীপ সমিতির ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা কাউন্টারের সামনে দেখতে পাবেন। সেখানে প্যাকেজে উল্লেখিত এক রাত্রি যাপন, দুই রাত্রিযাপন অথবা আসা যাওয়া বাবদ কত ভাড়া হয় তার লেখা আছে। আপনার পছন্দের মত প্যাকেজটি বেছে নিবেন। আপনারা যদি দুই থেকে চারজন হয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন অন্য কোন গ্রুপের সাথে জয়েন করে নিতে।
খাগড়াছড়ির জীপ সমিতির ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা
নিজেরা যদি অন্য গ্রুপের সাথে জয়েন হতে না পারেন তাহলে জীব সমিতির অফিসে গিয়ে বললেও তারা আপনাদের হেল্প করবে।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পরে আপনাকে রিসোর্ট বুক করতে হবে। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া হয়েছে সাজেক ভ্যালিতে। সরকারি ছুটির দিনে অথবা শুক্রবারে সাজেক যাওয়ার কথা চিন্তা করলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগের রুম বুকিং করে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে
সাজেকের রিসোর্ট বাছাই করার আগে কোয়ালিটি ও অবস্থান প্রাধান্য দিবেন।কারণ আপনি যদি সঠিক লোকেশনে রিসোর্ট না নিতে পারে তাহলে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক কিছুই মিস করবেন।সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ কিছুটা বাড়লেও রিসোর্ট এর ক্ষেত্রে সুন্দর লোকেশন দেখে শুনে তার পরে নিবেন।
রিসোর্ট নেওয়া শেষ হয়ে গেল এখন আসলো খাওয়ার চিন্তা।
সাজেকের খাওয়ার ব্যবস্থা
সাজেকে খাওয়ার জন্য অনেকগুলো সুন্দর রেস্টুরেন্ট রয়েছে।এছাড়াও বড় বড় রিসোর্ট এর নিজস্ব খাবারের সুব্যবস্থাও রয়েছে। তবে বাহিরে রেস্টুরেন্টের জনপ্রতি খাবার বিল হতে পারে ১৫০টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবারের মেনু হিসেবে রয়েছে সাদা ভাত, মুরগি, ব্যাম্বো বিরিয়ানি, ব্যাম্বো চিকেন, আলু ভর্তা, সবজি, ডিম ইত্যাদি।
তবে রাতের বেলায় অনেক রেস্টুরেন্ট বারবিকিউ এর সুব্যবস্থা রয়েছে এবং সকালে খিচুড়ি, মরিচ পেঁয়াজ ভর্তা, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ডিম ভাজি এবং পরোটা, ডাল।সাধারণত একজন ব্যক্তি সাজেক ভ্যালিতে ঘুরতে যাওয়া এবং আশা একরাত্রি যাপন প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। ঘুরার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা প্রাকৃতিক প্রেমে পড়া অতিরিক্ত টাকা খরচ না করাই শ্রেয়।আশা করি সাবাই সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
চট্টগ্রাম থেকে বিআরটিসি বাসে আপনি খাগড়াছড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মতো ভাড়া পড়বে।চট্টগ্রাম কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে বিআরটিসি কাউন্টার রয়েছে। এছাড়া একটু সামনের অক্সিজেনের মোড় থেকে শান্তি পরিবহনে আপনি চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি আসতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মতো। চট্টগ্রাম থেকে সাজেকে ভ্রমণ করলে চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন।
রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য আপনি দুটি পথ ব্যবহার করতে পারেন সড়ক পথ ও নৌপথে। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকালে সাতটা থেকে দশটার মধ্যে বাঘাইছড়ির উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মতো ভাড়া নেয়। এছাড়া আপনি চাইলে রাঙামাটি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে আসতে পারেন বাস ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকার মত পড়ে।
সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট ও হোটেল লিস্ট এবং ভাড়া
সাজেকের রিসোর্ট ও হোটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।সাজেক ভ্যালিতে এমন কিছু রিসোর্ট আছে যেগুলো সাজেকের বাহিরে কিন্তু ভিউ দেখতে অনেক সুন্দর আবার কিছু রিসোর্ট এমন অবস্থানে রয়েছে যেখান থেকে মূল পয়েন্টে আসতে অনেক সময় লেগে যায়।এর জন্য সবকিছু বিবেচনা করেই রিসোর্ট বুকিং করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট, হোটেল লিস্ট এবং ভাড়া কত হতে পারে।
সাজেক রিসোর্টঃ সাজেক রিসোর্ট বাংলাদেশের আর্মি পরিচালিত।সাজেক রিসোর্ট এর রুম ভাড়া প্রায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট।এই রিসোর্টের এসি এবং নন এসি দুই ধরনের রুমে পাওয়া যায়। বুকিং এর জন্য মোবাইল নাম্বার ০১৮৪৭-০৭০৩৯৫ অথবা ০১৭৬৯-৩০২৩৭০।
মেঘ পুঞ্জি রিসোর্টঃ সাজেকের অন্যতম সুন্দর রিসোর্ট হচ্ছে মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট। এই রিসোর্টে রয়েছে চারটি কটেজ এবং রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে শুরু করে ৪০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত বুকিং করার জন্য ০১৮৮৪-২০৮০৬০ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
রুন্ময় রিসোর্টঃ এই রিসোর্টের ভাড়া ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এই রিসোর্টে মোট পাঁচটি রুম রয়েছে প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ দুইজন থাকার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা চাইলে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা বাড়তি পরিশোধ করলে অতিরিক্ত একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বুকিং নাম্বার ০১৮৬৫-৪৭৬৮৮।
লুসাই কটেজঃ কাপল রুম এবং ডাবল রুম সব ধরনের রুম এই রিসোর্ট রয়েছে।একরাত্রি জাপানোর জন্য ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো। বুকিং করতে যোগাযোগ করুন ০১৬৩৪-১৯৮০০৫ এই নাম্বারে।
আলো রিসোর্টঃ আপনি যদি খরচ বাঁচাতে চান তাহলে আলো রিসোর্ট বুকিং করতে পারেন। রিসোর্টে প্রতি রাতের থাকার জন্য ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার পর্যন্ত রুম রয়েছে। যোগাযোগ নাম্বার ০১৮৪১-০০০৬৪৫।
জুম ঘর রিসোর্টঃ সাজেকের মধ্যে কয়েকটি ভালো রিসোর্টের মধ্যে জুম ঘরে রিসোর্ট রয়েছে। এই রিসোর্টের এক রাত্রি জাপনের রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে বুকিং এর জন্য যোগাযোগ নাম্বার ০১৮৮৪-২০৮০৬০।
পাহাড়িকা রিসোর্টঃ কম খরচের মধ্যে এটি একটি অন্যতম রিসোর্ট।এই রিসোর্টে প্রায় ১০ থেকে ১২ টির মতো রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। বুকিং নাম্বার ০১৮৭১-৭৭১৭৭৭।
হাফং তাংঃ এই রিসোর্টে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি ভালো রুম রয়েছে প্রতিটি রুমের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন। যোগাযোগ ০১৮৬৯-৬৪৯৮১৭।
রোংরাং রিসোর্টঃ সাজেকের মধ্যে অন্যতম রিসোর্ট গুলোর তালিকার মধ্যে এটি একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্ট এর রুমগুলো এবং ওয়াশরুম গুলো খুবই উন্নত মানের। এই রিসোর্টে এক রাতে জাপনের জন্য আপনার গুনতে হবে ২৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকার মতো।বুকিং এর জন্য যোগাযোগ নাম্বার ০১৮৬৯-৬৪৯৮১৭ বা ০১৮৬৯-৬৪৯৮১৭ ।
উপরের উল্লেখিত রিসোর্ট গুলো ছাড়াও আরো অনেক রিসোর্ট রয়েছে সাজেকে। আপনি চাইলে সাজেকের প্রবেশ করার পর রিসোর্ট বুকিং করতে পারেন। তবে সরকারি কোন ছুটির দিনে যাওয়ার আগে অবশ্যই বুকিং করে যাওয়া ভালো।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়
মে মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকৃতির সব থেকে বেশি সৌন্দর্য থাকে।এই সময়টুকুর মধ্যে মেঘের মেলা দেখা যায়। সারাদিন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মেঘ ভেসেও বেড়ায়। বর্ষার সময় সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণ না করাই ভালো। কারণ বর্ষার সময় অনেক পাহাড় ধসে রাস্তার উপরে পড়ে এবং রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে যে কোন সময় সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে।
সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান
সকাল অথবা বিকাল শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত সুন্দর দেখা যায় সাজেক।সাজেকের সব থেকে সুন্দর দর্শনীয় স্থান গুলো হলো ।
- আলুটিলা গুহা
- রিচাং ঝর্ণা
- ঝুলন্ত ব্রিজ
- কমলক ঝর্ণা অথবা পিদাম তৈসা ঝর্ণা বলে
- কংলক পাহাড়
- কাসালং নদী
- টাইগার টিলা
- রুইলুই পাড়া
আশা করি সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সাজেক বেলি ভ্রমণের কিছু টিপস
- সাজেকে বিদ্যুৎ নেই সোলার ও জেনারেটর এর সাহায্যে তারা আলো পায়। তাই নিজের সাথে সবসময় পাওয়ার ব্যাংক রাখবেন।
- সাজেকে বাংলালিংক ওগ্রামীণ সিমের ভালো নেট পাওয়া যায় না।সাজেকে শুধুমাত্র রবি ও এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক ভালো রয়েছে।তাই সাজেক যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার সাথে একটি রবি অথবা এয়ারটেল সিম নিয়ে যাবেন।
- সাজেকের আদিবাসীদের ছবি তোলার আগে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নিবেন।
- সাজেকে যখন পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন তখন পাহাড়ের সীমানা ঘিরে অনেক সতর্কবার্তা লেখা থাকে সেইসব সতর্কবার্তা মেনে চলবেন।
- পাহাড়ী লোকদেরকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবেন না।তাদের প্রতি সম্মান দেখাবেন।
- সাজেক খুবই সুন্দর একটি জায়গা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে নোংরা করবেন না।
- দুই থেকে তিন দিনের বেশি যদি সাজেকে থাকতে চান তাহলে শুধু যাওয়ার জন্য চান্দের গাড়ি অথবা জিপ ভাড়া করুন দুই থেকে তিন দিন বসিয়ে রেখে শুধু শুধু ভাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই এতে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
- সাজেকে যাওয়ার পথে রাস্তাগুলো অনেক আঁকাবাঁকা উঁচু নিচু তাই গাড়ির ছাদে বসবেন না এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ হয়তো আপনার জানতে পেরেছেন সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ ২০২৪, ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার, সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান সহ সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও খুব সহজে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করতে পারে। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন ধন্যবাদ।
আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url