Walnut বা আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি Walnut বা আখরোট কি, Walnut বা আখরোট খাওয়ার নিয়ম,আখরোট খাওয়ার
উপকারিতা,মধু মিশ্রিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত এ সকল
বিষয় সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য।
এই পোষ্টে Walnut বা আখরোট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।Walnut বা আখরোট
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন। আশা করি সম্পূর্ন
পোষ্টটি পড়ার পর আখরোট সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ Walnut বা আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
ভূমিকা
ভালো স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলেই সকলের মাথায় প্রথমে বাদামের কথা আসবে।
বর্তমানে এই বাদামকে মানুষ বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে।তবে ড্রাই ফুড হিসেবে সকলের
কাছে অনেক পরিচিত। কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, চিনা বাদামের মতো আখরোট বাদাম সকলের
কাছে তেমন পরিচিত নয়।
যার কারনে আখরোট খাওয়ার উপকারিতা, Walnut বা আখরোট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে
আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টে আখরোট সম্পর্কে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে। আশাকরি
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আখরোট সম্পর্কে সকলের ধারণা স্পষ্ট হবে।
Walnut বা আখরোট কি
আখরোটকে ইংরেজিতে walnut বলা হয়।আখরোট হলো এক ধরণের বাদাম। এই বাদামে প্রচুর
পরিমাণে আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই বাদামটি দেখতে গোলাকার। উপরের
অংশটি শক্ত আবরণের মতো। এই আবরনের ভিতরে এক ধরনের বীজ থাকে।এই বৃষ্টি হলো মূলত
আখরোট বাদাম।
উপরের শক্ত খোসা ফেলে দিয়ে ভিতরের বীজটি খাওয়ার উপযোগী। ভেতরের বীজটি দুই অংশে
বিভক্ত থাকে। এই বীজটি দেখতে বাদামি রং এর। আখরোট বাদামের গাছ সাধারণত ১০ থেকে ৪০
মিটার লম্বা হয়। এ বাদামে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন রয়েছে।এ বাদাম দেখতে কিছুটা
মানুষের মস্তিষ্কের মত। এটি একটি বিদেশি বাদাম।
Walnut বা আখরোট খাওয়ার নিয়ম
অন্যসব বাদামের মতো আখরোটকেও ভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আখরোট একটি উচ্চপুষ্টিকর
খাবার। তবে আখরোট খাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সে নিয়ম সম্পর্কে জানতে নিচে
লক্ষ্য করুন
পানিতে ভিজিয়েঃ সকল প্রকার বাদাম খাওয়ার একটি সহজ নিয়ম হচ্ছে পানিতে
ভিজিয়ে খাওয়া। তেমনি আখরোট খাওয়ার অন্য নিয়ম চোখে না পড়লে পানিতে ভিজিয়েও
খেতে পারবেন। কয়েকটি আখরোট নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
এ সময় পর এটি খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। আখরোট ভিজিয়ে খেলে এটি নরম এবং খেতে
সুস্বাদু লাগে। তাছাড়া আপনি শুকনো আখরোট ও খেতে পারবেন। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে
শুকনো আখরোট খাওয়া উপযোগী নয়। শুকনো আখরোট খাওয়ার ফলে পেটে বদহজম হতে পারে।
মধু দিয়েঃ বর্তমানে বাজারে মধুর সাথে মিশিয়ে বাদাম বিক্রি করা হয়। মধুর
সাথে মিশিয়ে আখরোট খাওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। মধুর সাথে মিশিয়ে
খেলে মধুর পুষ্টিগুণ ও আখরোটের পুষ্টিগুণ একসাথে মিশে শরীরের জন্য আরও উপকার করে।
তাছাড়া যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা মধু দিয়ে খেলে তাদের শরীরের
ব্লাড সুগার সমতা থাকবে।
দুধে ভিজিয়েঃ আখরোটকে দুধে ভিজিয়েও খাওয়া যায়। ৫ থেকে ১০ টি আখরোট ৩০
মিনিট ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। তাছাড়া দুধের সাথে আখরোট মিশিয়ে ব্লেন্ড করে
জুস বানিয়ে খেতে পারেন। দুধ একটি আমিষ জাতীয় খাবার এবং আখরোটেও রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এই দুইটি উপাদান একসাথে খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন উপকারে
আসবে।
ড্রাই ফুড তৈরি করেঃ ড্রাই ফুড বর্তমানে জনপ্রিয় খাবার। ড্রাই ফুড
মার্কেট থেকে না কিনে আপনি নিজেও ঘরে তৈরি করে খেতে পারবেন। ড্রাইভার তৈরি করতে
কিছু পরিমাণে পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, আখরোট বাদাম, মধু ও বিভিন্ন
ফল একসাথে মিশিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খেতে পারেন।
আখরোট খাওয়ার সঠিক সময়
সকল খাবারেরই একটি সঠিক সময় রয়েছে। তেমনি আখরোট খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালে
কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আখরোট খেলে বিভিন্ন
উপকারে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আখরোট খেলে ক্যান্সার
হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে পানি খাওয়ার নিয়ম
আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেলে ভালো ঘুম হয়, সারা দিনের ক্লান্তি দূর
হয় ও সারাদিন পরিশ্রম করার ফলে আমাদের শরীর থেকে যে সকল উপাদান ব্যয় হয় তা
পূরণে সাহায্য করে। তাছাড়া আখরোট বিকালে স্নেক হিসেবেও খেতে পারেন। এতেও শরীরের
অনেক উপকারে আসবে।
প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত
প্রতিদিন অতিরিক্ত আখরোট খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ক্ষতি দেখা দিতে পারে। তাই
যদি প্রশ্ন ওঠে প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত তাহলে বলবো প্রতিদিন চার থেকে
পাঁচটি আখরোট খাওয়া উচিত। আখরোটে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও খনিজ পদার্থ
রয়েছে তাই অতিরিক্ত আখরোট খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেড়ে
যেতে পারে এতে করে নানা রূপ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি
আখরোট খাওয়াই উত্তম।
আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
ইতোপূর্বে আমরা জেনেছি আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ এবং খনিজ পদার্থের
সমাহার। নিয়মিত আখরোট খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন উপকার হতে পারে। এই উপকার
সম্পর্কে জানতে নীচে লক্ষ্য করুন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আমরা সকলেই জানি হৃদরোগের জন্য দায়ী কোলেস্টেরল
ফ্যাট ও রক্তে প্রচুর শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আর এই সকল উপাদানকে প্রতিরোধ
করতে আখরোট বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফাইবার
,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এগুলো দেহের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ স্বাভাবিক করে ও রক্ত
চলাচলে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার কারণে হৃদপিণ্ড সচল থাকে ও বেশি
গুলোর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ ডায়াবেটিস রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে রক্তে
শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। এই শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি প্রতিদিন
আখরোট খেতে পারেন। আখরোট রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিয়মিত
আখরোট খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
ওজন কমায়ঃ ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই ডায়েট করে থাকি। অতিরিক্ত ডায়েট
করার ফলে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থেকে আমাদের শরীর বঞ্চিত হয়। তাই ডায়েট এর খাবার
হিসেবে প্রতিদিন সকালে আখরোট খেতে পারেন। এতে করে শরীরের পুষ্টিগুণের কোন প্রকার
অপূর্ণতা থাকবে না এবং ডায়েট করতেও সহজ হবে।
শিশুদের বিকাশেঃ শিশুদের বিকাশের জন্য প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
প্রয়োজন। তাই শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য আখরোট বিশেষ ভূমিকা
পালন করে। আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ,খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম ও আরো অনেক ধরনের
ভিটামিন। নিয়মিত শিশুদের আখরোট খাওয়ার ফলে তাদের শরীর সুঘটিত হবে। তাদের শরীরে
বিভিন্ন ও পুষ্টির সমাধান কমে যাবে এবং তাদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ আমাদের প্রত্যেকেরই কর্মক্ষমতা
বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিমাণের কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। দৈনন্দিন খাবারে আমরা
পরিমাণ মতো কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার খেতে পারিনা। এতে করে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি
বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য আখরোট বিশেষ ভূমিকা
পালন করে। কোলেস্টেরল সমতা করে এবং শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফলের হৃদরোগের
ঝুঁকি কমে যায়। এবং নিয়মিত কাজের জন্য আমরা পর্যাপ্ত শক্তি পেয়ে থাকি।
মস্তিষ্ক সুস্থ করেঃ আমরা জানি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডকে একটি সার্বজনীন
পুষ্টি উপাদান বলা হয়। এই পোস্টটি উপাদান বিভিন্ন বাদাম জাতীয় খাবার থেকে বেশি
পাওয়া যায়। এ সকল উপাদানের জন্য আখরোট অন্যতম খাবার। আখরোট খাওয়ার ফলে
স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড, পলিফাইনালস ও
ইউরোলিথিন উপাদান। এ সকল উপাদান কে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান বলা হয়। নিয়মিত
আখরোট খাওয়ার ফলে শরীরে এ সকল উপাদানের কোন ঘাটতি হয় না। এতে করে স্তন,প্রটেস্ট
ও কোলন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
শুক্রাণু বৃদ্ধি করেঃ শুক্রানুর মান বৃদ্ধি করতে আখরোট একটি অন্যতম খাবার।
নিয়মিত আখরোট খাওয়ার ফলে যৌন স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়।
হাড় মজবুত করেঃ আমাদের শরীরে হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। আর এই ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস হল আখরোট। নিয়মিত আখরোট
খাওয়ার ফলে যাদের হাত-পা ও পিঠের ব্যথা রয়েছে তারা এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই
পাবেন।
ত্বক সুন্দর করেঃ আমরা জানি বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক সুন্দর হয়।
কারণ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ উপাদান। তেমনি আখরোটে খাওয়ার ফলে
আমাদের স্কিন সুন্দর হয়।
চুলের উপকার করেঃ আমাদের চুলের জন্য পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ক্যালসিয়াম
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর এই সকল উপাদান আমরা একই সাথে আখরোটে পেয়ে থাকি। নিয়মিত
আখরোট খাওয়ার ফলে আমাদের চুল লম্বা হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারীঃ আখরোটে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন বি,ফোলেট,
রাইবোফ্লাভিন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এ সকল উপাদান একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের আখরোট খেলে এ
সকল উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
মধু মিশ্রিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
আখরোট খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকারে আসে। তেমনি আখরোট এবং মধু একসাথে খেলে শরীরে
অনেক উপকারে আসবে। মধু ও আখরোট কে একসাথে পুষ্টির পাওয়ার হাউজ বলা হয়। মধু
মিশ্রিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা নিম্নরূপঃ
- মধু ও আখরোট একসাথে খেলে শিশুদের ব্রেন শক্তিশালী হয়।
- শরীরে অনিদ্রা দূর হয়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- মধু ও আখরোট ছেলেদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন খাওয়ার ফলে তাদের শুক্রাণুর উন্নতি ঘটে।
- বিবাহিতদের জন্য এটি অনেক উপকারী। দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে।
- শরীরের কোলেস্ট্রল কমায়।
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
আখরোট খাওয়ার অপকারিতা
আমরা জানি সকল খাবারেরই একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত কিছু সেবন
করার বা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন অপকারিতা দেখা দিতে পারে। তেমনি অতিরিক্ত
আখরোট খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। অপকারিতা গুলো ও নিম্নরূপ:
- অতিরিক্ত আখরোট খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। তাই এলার্জির সমস্যা থাকলে পরিমাণ মতো আখরোট খাওয়াই উত্তম।
- আখরোটে অনেক পরিমাণের পুষ্টি ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে লিভারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বদহজম, লুজ মোশন সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- আখরোটে আয়রনের পরিমাণ বেশি রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত আখরোট খাওয়ার কারণে শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে ফাইটেস নামক উপাদান তৈরি হয়। এই ফাইটেস উপাদান আয়রন শূষে নেয়। ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়।
পরিশেষের কথা
অন্যান্য বাদামের মতো আখরোট হয়তো আমাদের সকলের পরিচিত নয়। তাছাড়া এটি একটি
বিদেশি ফল বলে এর দাম একটু চওড়া। তাই হয়তো আখরোট খাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয়ে
ওঠে না। কিন্তু এই আখরোট আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সম্ভব হলে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি আখরোট খাওয়া উচিত।আশা করি Walnut বা আখরোট
খাওয়ার নিয়ম ,আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।এই পোস্টটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তা হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url