বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানুন প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে এবং
ঢাকা বিভাগে মোট কয়টি নদী আছে সেই সম্পর্কে।অনেক সুন্দর নদ নদী জলরাশি নিয়ে
গঠিত আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশ। এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় নদীমাতৃক দেশ বলা হয়
বাংলাদেশকে।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে সেই বিষয় নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।তবে
আপনাদেরকে বিতর্কের মুখে পড়তে হবে না।আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন অবশ্যই
আপনি বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে এবং ঢাকা বিভাগে মোট কয়টি নদী আছে,বাংলাদেশে
প্রধান নদী কয়টি ও কি কি সহ সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে
ভূমিকা
নদীমাতৃক বাংলাদেশকে নিয়ে লিখে শেষ করার মত নয়।শুধু লিখেই নয় বাংলাদেশকে নিয়ে
মুখে বলেও তার সৌন্দর্য সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবেনা।এত সুন্দর নদী নালা
বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।বাংলাদেশের ঐতিহ্য,সংস্কৃতি, সৌন্দর্যর সঙ্গে
মিসে আছে নদী।
আরো পড়ুনঃ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও উদাহরণ
তাই আজকে আমারা জানাবো বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে , বাংলাদেশে প্রধান নদী
কয়টি, ঢাকা বিভাগে মোট কয়টি নদী আছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম নদী কোনটি,
ইত্যাদি বাংলাদেশের নদী সম্পর্কে আরো তথ্য তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ৪০৫টি নদী রয়েছে।তবে দেশের
বর্তমানে নদী আছে ১,০০৮টি। বিশ্ব নবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের নদী রক্ষা কমিশন
জানায় বর্তমানে বাংলাদেশে ১,০০৮টি নদ-নদী আছে।নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি
জমে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা।
বাংলাদেশে প্রধান নদী কয়টি ও কি কি
নদীকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রাণ। বাংলাদেশের অসংখ্য নদীর মধ্যে কিছু নদীকে প্রধান
নদী বলা হয়।সেগুলো হচ্ছে
- পদ্মা নদী
- মেঘনা নদী
- যমুনা নদী
পদ্মা নদী
বাংলাদেশের প্রধান নদীর তালিকার মধ্যে সর্বপ্রথম অবস্থানে আছে পদ্মা নদী। প্রায়
৩৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই নদী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা
হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমাদের নদীমাতৃক দেশে প্রবেশ করেছে।শুধু তাই নয় পদ্মা
নদী চাঁদপুরের কাছে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরেও চলে গিয়ে মিলিত
হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা
বাংলাদেশের ক্লিন সিটি হিসেবে রাজশাহী পরিচিত সেই রাজশাহীর উত্তর তীরে অবস্থিত
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা।পদ্মা নদীর সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট।তবে বাংলাদেশ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে পদ্মা নদীর গড় গভীরতা ৯৬৮ ফুট।
মেঘনা
সিলেট অঞ্চল দিয়ে আসামের লুসাই পাহাড় থেকে মেঘনা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ
করে।ধলেশ্বরী নদী হচ্ছে মেঘনা নদীর প্রধান শাখা গুলোর মধ্যে একটি নদী।বাংলাদেশের
ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রশস্ত মেঘনা নদী ভোলার কাছাকাছি গিয়ে প্রায় ১২
কিলোমিটার প্রশস্ত হয়।
যমুনা
চাঁদপুরের কাছাকাছি মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে গোয়ালন্দ ঘাটের কাছে
পদ্মা নদীর সঙ্গে মিলিত ছিল যমুনা।১৯৬২ সালে ২ এপ্রিল ভূমিকম্পের ফলে
ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তন করার ফলে যমুনা উৎপত্তি লাভ করে।অন্য দুই নদীর মত
যমুনা নদীর প্রশস্ত অনেক। বর্ষাকালে এই নদীর প্রশস্ত দ্বারায় ১০ থেকে ১৩
কিলোমিটার পর্যন্ত। শুধু বর্ষাকালেই নয় শুষ্ক মৌসুমেও ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের নিচে
নামে না যমুনা নদীর প্রশস্ত। যমুনা নদীর শাখা নদী গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
করতোয়া ও তিস্তা অন্যতম।
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী হিসেবে আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী রয়েছে সেগুলো হচ্ছে।
শীতলক্ষা নদী, তিস্তা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদী, গোমতী নদী, কর্ণফুলী নদী ইত্যাদি।
বাংলাদেশের মোট নদীর দৈর্ঘ্য কত
গ্রাম বাংলার নদীর দৃশ্য দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। নদীর তার গঠন অনুযায়ী শাখা
নদী, প্রধান নদী, উপনদী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।তবে ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে ছোট নদীকে
ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়। শাখা প্রশাখা সহ ৭০০টি নদনদী বিপুল জলরাশি নিয়ে
বাংলাদেশের বুকে প্রায় ২২ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জায়গা দখল করে প্রবাহিত
হচ্ছে।
নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক প্রধান হাইড্রোলজিস্ট আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন
বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪টি নদী ২০০ কিলোমিটারের বেশি। এছাড়া অন্যান্য নদী গুলো ১০০
থেকে ১৯৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদী রয়েছে।
বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদী কয়টি
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হয়।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ
ভারত এবং মায়ানমারের আন্তঃ সীমান্ত নদী যুক্ত আছে। বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর
সংখ্যা মোট ৫৭ টি।এই ৫৭ টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মধ্যে ৫৪টি নদী বাংলাদেশের ভারতের
মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাকি তিনটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অভিন্ন ভাবে রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীর তালিকা
- গঙ্গা অথবা পদ্মা।
- তেতুলিয়া।
- আত্রাই।
- রায়মঙ্গল।
- বেতনা কোদালিয়া।
- ভৈরব কপোতাক্ষ।
- ইছামতি কালিন্দী।
- মাথাভাঙ্গা।
- পাগলা।
- পুনর্ভবা।
- তিস্তা।
- বুড়ি তিস্তা।
- কুলকি অথবা কোকিলা।
- নাগর।
- ঘোড়ামারা।
- করোতোয়া।
- দিওনাই যমুনেশ্বরী।
- তালমা।
- ডাহুক।
- মহানন্দ।
- ধরলা।
- ব্রহ্মপুত্র।
- জিঞ্জিরাম।
- চিল্লাখালী।
- দুধকুমার।
- সোমেশ্বরী।
- নয়াগাঙ।
- যাদুকাটা।
- ধলা।
- উমিয়াম।
- সুরমা।
- জুরি।
- মনু।
- কুশিয়ারা।
- শারি গোয়াইন।
- পিয়াইন।
- হাওড়া।
- লংলা।
- ধলাই।
- সুতাং।
- সোনাই।
- বিজনী।
- সালদা।
- গোমতী।
- সিলোনিয়া।
- ফেনী।
- কর্ণফুলী।
- কাকরাই ডাকাতিয়া।
- মহুরী।
- নিতাই।
- খোয়াই।
- দামালিয়া অথবা যালুখালী।
- টাঙ্গন।
- সোনাই বারদল।
এই ৫৪ টি নদী মূলত বাংলাদেশ ও ভারত আন্তঃসীমান্ত অবস্থিত রয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আন্তঃসীমান্ত তিনটি নদী
- মাতামুহুরী।
- নাফ।
- সাঙ্গু।
আশা করি সবাই বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদী কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে কোন জেলায় বেশি নদী আছে
বাংলাদেশের সর্বমোট ৪০৫ টি নদী রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৭ টি নদী রয়েছে
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায়।
ঢাকা বিভাগে মোট কয়টি নদী আছে
বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার মধ্যে প্রধান চারটি নদী রয়েছে। এগুলো হল
- বুড়িগঙ্গা নদী।
- তুরাগ নদী
- শীতলক্ষা নদী
- বালু নদী।
বুড়িগঙ্গা নদীঃ ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ঢাকা জেলায়
বুড়িগঙ্গা নদী অবস্থিত। বুড়িগঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯ কিলোমিটার। এবং
বুড়িগঙ্গা নদীর গড় প্রস্থ ৩০২ মিটার।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
তথ্য অনুযায়ী বুড়িগঙ্গা নদীর প্রদত্ত নদী নাম্বার ৪৭।
বালু নদীঃ ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর জেলা ও ঢাকা
জেলার মধ্যে অবস্থিত বাল নদী। বালু নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৪ কিলোমিটার গড় প্রস্থ
হচ্ছে ৭৯ মিটার।বালু নদী হচ্ছে ঢাকা জেলার মধ্যে বয়ে যাওয়া চারটি নদীর মধ্যে
একটি নদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক বালা নদীর কেন্দ্রীয়
নাম্বার ৪৬।
ইছামতি নদীঃ ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রবাহিত ইছামতি নদী।ইছামতি
নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ কিলোমিটারের।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য
অনুযায়ী উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের 5 নং ইছামতি নদী।
এলংজানিঃ যমুনা নদীর একটি শাখা নদী হচ্ছে এলংজানি নদী। এই নদীর গড় প্রস্থ
হচ্ছে ৬৭ মিটার এবং নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩৩ কিলোমিটার প্রায়।এই নদী ঢাকা বিভাগের
টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত।
আটি নদীঃ ঢাকা বিভাগের কেরানীগঞ্জ উপজেলায় আটি নদী অবস্থিত। আট এ নদীর
দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
বোশখালীর নদীঃ বোশখালীর নদী ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত। এই
নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং গৌর প্রস্থ হচ্ছে ২৬ মিটার। বাংলাদেশ পানি
উন্নয়ন বোর্ড বা 'পাউবো' কর্তৃক নদীর কেন্দ্রীয় নাম্বার ৪৯।
বংশী নদীঃ ঢাকা বিভাগের জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা জেলায় বংশী
নদী অবস্থিত। বংশী নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩৮ কিলোমিটার এবং এর গড় প্রস্থ হচ্ছে ৪৯
মিটার।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী বংশী নদীর প্রদত্ত
কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নাম্বার ৩৯।
গাজীখালী নদীঃ ঢাকা বিভাগের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা ও ঢাকা জেলায় গাজীখালী
নদী অবস্থিত। গাজীখালী নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫২
মিটার।গাজীখালী নদীর কেন্দ্রীয় নাম্বার ১৩।
টঙ্গী নদীঃ ঢাকা বিভাগের উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে গাজীপুর জেলায় টঙ্গী
নদী অবস্থিত। টঙ্গী নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হচ্ছে ৫৫ মিটার।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা 'পাউবো' কর্তৃক টঙ্গী নদীর কেন্দ্রীয় নম্বর ২২।
কালী গঙ্গা নদীঃ ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলায় এই নদী অবস্থিত। কালিগঙ্গা
নদীর দৈর্ঘ্য ৭৮ কিলোমিটার এবং এর গড় প্রস্থ ২৪২ মিটার।
জয়পাড়া নদীঃ ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় জয়পাড়া নদী অবস্থিত। জয়পাড়া
নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার এবং ঘর প্রস্থ ৩৮ মিটার। জয়পাড়া নদীর উৎস
পদ্মা নদী থেকে। এই নদীর কেন্দ্রীয় নম্বর হচ্ছে ১৮।
তুরাগ নদীঃ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মধ্যে গাজীপুর জেলা ও ঢাকা জেলায়
তুরাগ নদী অবস্থিত। তুরাগ নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬২ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ
৮২ মিটার।তুরাগ নদীর ঢাকা শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া চারটি নদীর মধ্যে একটি
নদী।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা 'পাউবো' তথ্য অনুযায়ী তুরাগ নদীর কেন্দ্রীয়
নাম্বার ২৫।
শীতলক্ষা নদীঃ ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ নরসিংদী ও গাজীপুর জেলায় অবস্থিত
শীতলক্ষ্যা নদী।শীতলক্ষা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০৮ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ হচ্ছে
২২৮ মিটার।ঢাকার মধ্যে বয়ে যাওয়া চারটি নদীর মধ্যে একটি নদী হচ্ছে শীতলক্ষা
নদী।
বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম নদী কোনটি
নদীমাতৃক বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে গভীরতম নদী হচ্ছে মেঘনা নদী। বাংলাদেশের দক্ষিণ
পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার, লক্ষ্মীপুর, কিশোরগঞ্জ,
নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ভোলা জেলায় অবস্থিত। মেঘনা নদীর দৈর্ঘ্য
প্রায় ১৫৬ কিলোমিটার এবং এটার গড় প্রস্থ হচ্ছে ৩৪০০ মিটার।
মেঘনা নদী চাঁদপুর মোহনা থেকে শুরু করে ভোলার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০০
কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড
বা 'পাউবো' মেঘনা নদীর কেন্দ্রীয় নাম্বার ১৭।
যেসব দেশে কোন নদী নেই
পৃথিবীতে অনেক নামিদামি শহরগুলো নদীর তীরে রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন পৃথিবীতে
এমন কিছু দেশ আছে সেগুলোতে কোন নদী নেই, নেই কোন প্রকার জলের স্রোত।নদীবিহীন যেসব
দেশগুলো রয়েছে সেগুলো পৃথিবীতে ধনী দেশের তালিকার মধ্যে অন্যতম অবস্থানে
রয়েছে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব দেশে কোন নদী নেই।
সৌদি আরব
পৃথিবীর মধ্যে মুসলিম প্রধান দেশ হচ্ছে সৌদি আরব।যাকে সবাই ইসলামিক রাষ্ট্র বলে
থাকে।এই দেশে কোন প্রকার নদী নেই।সৌদি আরবের মোট আয়তন প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ ৩৯
হাজার ৬০০ কিলোমিটার। পুরো বিশ্বের দিক থেকে সৌদি আরবের আয়তন ১২ তম স্থানে
রয়েছে।
ওমান
নদীহীন দেশের মধ্যে ওমানের স্থান রয়েছে দ্বিতীয়।ওমান আরবের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে
অবস্থিত একটি দেশ।ওমানের যেদিকে তাকাবেন শুধু মরুভূমি আর মরুভূমি দেখতে
পাবেন।নদীবিহীন ওমানের আয়তন মোট ৩০ লক্ষ ৯৫০০ বর্গ কিলোমিটার প্রায়।
কাতার
কাতারের মানুষ এখন পর্যন্ত নদীর মুখ দেখেনি।মধ্য প্রদেশের মধ্যে ছোট একটি দেশ
হচ্ছে কাতার।তবে বর্তমানে কাতার খুব উন্নত মানের একটি দেশ হিসেবে রূপান্তর
হয়েছে।কিন্তু কাতারে কোন প্রকার নদী নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ইউনাইটেড আরব আমিরাত নদী ছাড়া একটি দেশ।তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বেশি
ভালোভাবে চিনবেন দুবাই শহর হিসেবে । এই শহরে কোন নদী নেই।
কুয়েত
কুয়েত দেশের জাতীয় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এদেশে কোন প্রকার নদী বা জলের স্রোত এখন
পর্যন্ত দেখা যায়নি।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ এতগুলো হয়তো আপনারা জেনে গেছেন বাংলাদেশে মোট কয়টি নদী আছে,
বাংলাদেশের প্রধান নদী কয়টি ও কি কি এবং ঢাকা বিভাগে মোট কয়টি নদী আছে ইত্যাদি
আরও সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
যাতে আপনার মত তারাও কিছু শিখতে পারে। এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে
পারে। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।যদি কারো কোন
প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন সাথে সাথে রিপ্লাই দিয়ে সঠিক উত্তর
দেওয়া সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
আয়াত টিপসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url